শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের খিরাটী মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুকুরটি তরুণ উদ্যোক্তা ইমতিয়াজ জামান অমি ও তার বন্ধু আজহারুল ইসলাম আশিকের যৌথ মালিকানাধীন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইমতিয়াজ জামান অমি কাপাসিয়া মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানান। মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, ‘তাদের কার্যালয়ে মাছ পরীক্ষা করার সুযোগ নেই, তবে পানি পরীক্ষা করে বিষক্রিয়ার অস্তিত্ব যাচাই করা সম্ভব।’
ভুক্তভোগী মৎস্য চাষি অমি জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে ছয় মাস আগে ২০ শতাংশ জমির পুকুরে ১৫ হাজার তেলাপিয়া ও অন্যান্য মাছের পোনা ছাড়েন তারা। এ উদ্যোগে সহায়তা করেছিলেন ফরাজী ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির ফরাজী।
আরও পড়ুন: বাউফলে বিষ প্রয়োগে ৪ হাজার মুরগির মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি বলেন, ‘পুকুরে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা প্রতিনিয়ত মোটর দিয়ে পানি সেচ দিই, এমনকি নেমে খাবার দিই। তাই ধারণা করছি, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ তিনি জানান, অল্প কিছুদিন পরেই মাছগুলো বিক্রির কথা ছিল।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নেটিজেনরা ফেসবুকে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘আমার কাছে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>