কাটাছেঁড়া ছাড়াই বাংলাদেশে মিলছে থাইরয়েডের আধুনিক চিকিৎসা

২ সপ্তাহ আগে
কাটাছেঁড়া ছাড়াই থাইরয়েডের নডিউল বা টিউমারের আধুনিক ও নিরাপদ চিকিৎসা বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম কে আজাদ মিরপুর-১১ অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক কার্ডিয়াক সেন্টারে এই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি ছাড়াও বর্তমানে থাইরয়েড নডিউল বা টিউমারের চিকিৎসায় আরেকটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে। যার নাম রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন (আরএফএ)। এটি একটি ইনোভেটিভ এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। যার মাধ্যমে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করা হয়। তবে পুরো থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে ফেলা হয় না। আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে নডিউলের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করে, সূঁচের মাধ্যমে তাপ শক্তি প্রয়োগ করা হয়, যা নডিউলকে ধ্বংস করে।

 

আরএফএ পদ্ধতি থাইরয়েড গ্রন্থিকে অক্ষত রেখে নডিউলের সমস্যা সমাধান করে অর্থাৎ ন্যূনতম হস্তক্ষেপমূলক (মিনিমালি ইনভেসিভ) এবং কম ঝুঁকি, ও কম কষ্টের মাধ্যমে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ দেয়। আর, এটি একটি আধুনিক পদ্ধতি হওয়ায় অন্যান্য প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর ও নিরাপদ।

 

আরএফএ পদ্ধতির সুবিধা:

 

> এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া প্রায় ৩০-৪০ মিনিট সময় নেয় এবং বহিঃবিভাগেই করা সম্ভব।

> সার্জারির পর গলায় যে দাগ থাকে, তা এ ক্ষেত্রে থাকে না, যা রোগীকে একাধিক সামাজিক এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।

> এই পদ্ধতিতে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এবং বেশিরভাগ রোগীকে বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না।

> এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্জারির পরবর্তী আজীবন হরমোনের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন হয় না।

> এই পদ্ধতি ব্যথাহীন এবং ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, যা রোগীদের জন্য একটি বিশাল সুবিধা।

> গবেষণায় দেখা গেছে আরএফএ করার পর নডিউলের আকার চার বছরে ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়ে যায়। যারা অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদনকারী নডিউলে ভুগছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে ৫৩–৭১ শতাংশ আকার কমে এবং ৮২ শতাংশ রোগীর রক্তের হরমোন মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিশেষত এশীয় জনগণের মধ্যে এই ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন