সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ‘পেত্রোর বেপরোয়া ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা তার ভিসা বাতিল করব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরের বাইরে ইসরাইলবিরোধী এক সমাবেশে গুস্তাভো পেত্রো বলেন, ‘আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সব সৈন্যদের জনগণের দিকে বন্দুক তাক না করার জন্য অনুরোধ করছি। ট্রাম্পের আদেশ অমান্য করুন। মানবতার আদেশ মেনে চলুন!’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের হুমকির খবরে পেত্রোর অফিস বা কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর দাবি / যেসব নেতা প্রকাশ্যে আমাদের নিন্দা করেন, তারা গোপনে ধন্যবাদ দেন
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে পেত্রো ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মার্কিন নেতা গাজায় ‘গণহত্যার সাথে জড়িত’। একই সঙ্গে ক্যারিবিয়ান জলসীমায় সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ‘ফৌজদারি মামলা’ করার আহ্বান জানান।
শুক্রবার পেত্রোর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দেখা যায়, তিনি নিউইয়র্কে ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের এক সমাবেশে নিজের বক্তব্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘মুক্ত ফিলিস্তিন। যদি গাজার পতন হয়, তাহলে মানবতা হেরে যাবে।’
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ নিয়ে আশার বাণী শোনালেন ট্রাম্প
গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পেত্রো ইসরাইলের কড়া সমালোচক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে পেত্রো ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নাৎসি বলে তুলনা করার পর ইসরাইল কলম্বিয়ায় নিরাপত্তা সরঞ্জাম রফতানি বন্ধ করে। পরে কলম্বিয়াও ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা পুরোপুরি স্থগিত করে।
এর আগে ২০২৪ সালের মে মাসে পেত্রো ঘোষণা দেন, কলম্বিয়া ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তিনি ইসরাইলি নেতৃত্বকে ‘গণহত্যাকারী’ আখ্যায়িত করেন।
]]>