২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর এইচএমপিভি পজিটিভ ধরা পড়ে ওই শিশুর। স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে জানান, ৫ মাস বয়সি ওই শিশু বাবা-মায়ের সঙ্গে মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসেছিল। এই শহরে আসার পরই তার প্রচণ্ড জ্বর হয়। বমি, শ্বাসকষ্টের মতোও নানা উপসর্গ ছিল।
সেগুলো দেখেই বেশ কিছু টেস্টের সঙ্গে এইচএমপিভি টেস্টও হয়েছিল। কিন্তু করোনা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনো, অ্যাডিনো, রেসপিরেটরি সিন্সিটিয়াল ভাইরাস ইত্যাদি টেস্ট নেগেটিভ এলেও, এইচএমপিভি টেস্ট পজিটিভ আসে।
আরও পড়ুন: মুখ খুললো চীন /কোভিডের মতো এইচএমপিভিও কি বিশ্বব্যাপী ছড়াতে পারে?
শিশুটি এতটাই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিল যে তাকে পিআইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। ব্রিদিং সাপোর্টও দেয়া হয়। হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানুলার-এর মতো চিকিৎসা দেয়া হয়। ডা. সহেলি বলেন,
এটা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের মতো একটি বিষয়। শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যার উপশম হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। পিআইসিইউ-তেই ৭ দিন ছিল ওই শিশু। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে।
এইচএমপিভি সংক্রমণের চিকিৎসা কী?
হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও কোনো অ্যান্টি-ভাইরাল চিকিৎসা নেই। মূলত উপসর্গের চিকিৎসা হয় এই রোগের ক্ষেত্রে। এইচএমপিভি’র সাধারণ উপসর্গ একেবারেই মামুলি সর্দি-কাশি-জ্বর। বেশি সমস্যা হলে নানা ধরনের ব্রিদিং সাপোর্ট দিয়ে এর চিকিৎসা হয়।
সময় মতো রোগ চিনতে পারা এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরুই রোগমুক্তির উপায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গলা ও নাকের সোয়্যাব নিয়ে একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে এইচএমপিভি সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা জানা যায়।
আরও পড়ুন: কোভিডের পর চীনে ‘এইচএমপিভি’ ভাইরাসের প্রকোপ, ছড়ায় কীভাবে?
সতর্ক থাকবেন কীভাবে?
শিশুদের প্রায়শই জ্বর হয়। বিশেষ করে ঋতুবদলের সময় ঘন ঘন সর্দি-কাশি ও জ্বরে ভোগে অনেক শিশু। হিউম্যান মেটা নিউমোভাইরাস সংক্রমণের আবহে তাই জ্বর ও সর্দি নিয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।
চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্ত বলছেন, ‘আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি। জ্বরের সঙ্গে অন্য উপসর্গ রয়েছে কি না, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর টানা হাই গ্রেড ফিভার হলে, টানা কাশি হলে সতর্ক হতে হবে। যদি জ্বরে আক্রান্ত শিশুর বমি হয়, একেবারেই খেতে না পারে তাহলে দ্রুত সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।’
সূত্র: এই সময়
]]>