গত সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে, চলতি বছর ঈদুল আজহার পর ঐতিহ্যবাহী হলটি চিরতরে বন্ধ হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তখন নওশাদ বলেন, মধুমিতা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরটি পুরোপুরি সত্য নয়। তবে এবারের দুই ঈদ ও তার পরবর্তী সময়ে ভালো ব্যবসা না করতে পারলে হল খোলা রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
একটু ক্ষোভ প্রকাশ করে নওশাদ আরও বলেন, ‘শুধু দুই ঈদের জন্য সিনেমা হল তৈরি করিনি। সারা বছর হলে চালানোর মতো কোনো সিনেমা নেই। আমার মাত্র ১২২১ সিটের হল দর্শকে ভরতে পারে না। বৈদ্যুতিক বিল এবং কর্মচারীদের বেতন দিয়ে আর কত লসে হল খোলা রাখব? এভাবে সবসময় লস দিয়ে তো সিনেমা হল চালাতে পারি না!’
আরও পড়ুন: ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন অভিনেত্রী শাওন ও সাবা

তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। হল বন্ধের ঘোষণার এক সপ্তাহ পরই হলটির পরিচালনা পর্ষদের সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছান, ভালো সিনেমা ও দর্শকের অভাবে সংকটাপন্ন অবস্থা হলেও তারা সিনেমা হলটি চালু রাখবেন।
আরও পড়ুন: মাইলফলক গড়ল ‘দুষ্টু কোকিল’
১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর দর্শকদের মাঝে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য যাত্রা শুরু করে ‘মধুমিতা’ সিনেমা হল। ঢাকার বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিলে প্রায় তিন বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা হলটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
]]>