কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অনিশ্চিত মোশাররফের এইচএসসি পরীক্ষা!

২ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ করেও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ না হওয়ায় পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মোশাররফ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর। পরে ওই ছাত্রের কাছ থেকে আবারও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ফরম পূরণের আশ্বাস কলেজ কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে চলতি মাসের ২৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা।

জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কার্যক্রম শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফি নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৩৬৫ টাকা। মোশাররফ হোসেন ওই টাকা পরিশোধ করলেও তার ফরম পূরণ হয়নি।


ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ছয় বন্ধু একসঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও টাকা জমা দিয়ে, রশিদ কলেজে জমা দেই। আমাদের কাছে থাকা দুটি রশিদ কলেজের সহকারী অফিস সহায়ক মো. শাজাহান নিয়ে নেন। বিপত্তি দেখা দেয় (সোমবার ২৩ জনু) যখন আমরা কলেজে এডমিট কার্ড নিতে যাই।’


তিনি বলেন, ‘সবাইকে এডমিট কার্ড দেয়া হলেও আমারটা পাওয়া যায়নি। পরে শিক্ষকরা খতিয়ে দেখে জানান, আমার ফরম পূরণই হয়নি। আমাকে জানানো হয়, এবার পরীক্ষা দেয়া সম্ভব নয়, পরবর্তী বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবুও আমি কলেজে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। পরে শাজাহান স্যার আমাকে ডেকে বলেন, ফরম পূরণ করতে চাইলে ৫ হাজার টাকা লাগবে।’


মোশাররফ আরও বলেন, ‘আমার কাছে টাকা না থাকায় একজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নিয়ে কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মনোয়ার হোসেনের কাছে টাকা জমা দিয়েছি।’বিষয়টি স্বীকার করে কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মিস ফরম ফিলাপের জন্য ৫ হাজার টাকা নিয়েছি।’


আরও পড়ুন: স্থগিত হয়নি যশোর বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা


রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজিমুদ্দিনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।


এ বিষয়ে সহকারী অফিস সহায়ক মো. শাজাহান বলেন, ‘ভুলবশত ফরম পূরণ হয়নি। কলেজের ফান্ডে টাকা না থাকায় সাময়িকভাবে মোশাররফের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে। এই টাকা কলেজ থেকেই ফেরত দেয়া হবে, আমরা শুধু সমস্যা সমাধানের জন্য তার কাছ থেকে নিয়েছি।’


কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন গাফিলতিতে হতাশা প্রকাশ করে আরেক পরীক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘স্যারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে মোশাররফের ফরম পূরণ হয়নি। এখন তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা চাই, দ্রুত তার ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।’


এ বিষয়ে রাজীবপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুল কাদের বলেন, ‘কোনো কারণে হয়তো তার ফরম পূরণে ভুল হয়েছে। বিষয়টি জানার পর বোর্ডে টাকা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সে পরীক্ষা দিতে পারবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন