নিহতরা হলেন- জাহাজের সুকানি মোহাম্মদ আলতাফ (৪০) ও প্রধান বাবুর্চি নুর উদ্দিন (৩৭)। তারা দু’জনেই নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা। মোহাম্মদ আলতাফের বাবার নাম মোহাম্মদ আবু তাহের এবং নিহত নুর উদ্দিনের বাবার নামও আবু তাহের।
জানা গেছে, ঘটনার সময় কর্ণফুলী নদীতে একটি ফিশিং জাহাজ অন্য আরেকটি জাহাজকে মোটা রশি দিয়ে টেনে নামাচ্ছিল। হঠাৎ করে রশিটি ছিঁড়ে গিয়ে জাহাজে থাকা তিন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ আলতাফ ও নুর উদ্দিনের মৃত্যু হয়। অপর একজন শ্রমিক এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে নাবিকদের হাত-পা বেঁধে বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একই মালিকানাধীন দুটি ফিশিং জাহাজের মধ্যে একটি জাহাজ আরেকটিকে টেনে নামানোর সময় মোটা রশি ছিঁড়ে যায় এবং রশির আঘাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহাজটির মালিক এমএ কাদের বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের বাইরে আছি, দ্রুত ফিরছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। আমি শোকাহত। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা, যার বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
নিহত দুই শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে এমএ কাদের গ্রুপের মালিকানাধীন সী হার্ট জাহাজে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।