করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে!

১১ ঘন্টা আগে
দুই অর্থবছর ধরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আটকে আছে সাড়ে তিন লাখ টাকায়। উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় আসছে বাজেটে তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন করদাতা ও ব্যবসায়ীরা। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি করজাল বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদেরও। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে মিলেছে বাড়ানোর আভাস।

সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করে সরকার। চলতি অর্থবছরেও একই রাখা হয় এই সীমা। সে হিসেবে ব্যক্তির মাসিক আয় ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা হলেই গুণতে হয় ৫ শতাংশ আয়কর।

 

বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে করসীমা নিয়ে অসন্তোষ সাধারণ মানুষের। তারা জানান, খাওয়া-দাওয়া, ঘরভাড়া দেয়ার পর হাতে আয়ের অবিশিষ্ট কিছুই থাকে না। ট্যাক্স দেবে কোথা থেকে! বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো দরকার।

 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য, বর্তমানে ১ কোটি ১১ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারী আছেন। যদিও চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ এফবিসিসিআইর

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি করজাল বাড়াতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়া দরকার। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, যারা নিয়মিত কর দেন তাদের সংখ্যা সীমিত। এদের ওপর করের বোঝা আরও বাড়ানো হলে বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে আসবে। করদাতার সংখ্যা বাড়ালে ট্যাক্স রেট না বাড়িয়েও রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।

 

এদিকে এনবিআর ও অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে পৌনে ৪ লাখ টাকা।

 

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামনে এনে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে অন্তত ৫ লাখ টাকা করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ আইনুল ইসলামের। তিনি বলেন, ভারতে গত অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ থেকে ১২ লাখ রুপিতে উন্নীত করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় দেশে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে অন্তত ৫ লাখ টাকা করা উচিত।

 

শুধু করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালেই হবে না, আয়ের পথও সুগম করার তাগিদ ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন