বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন বিধিমালায় তফসিলটা সংশোধন করা হয়েছে। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য শোনা গেছে। তাই আগের ১১৫টি প্রতীক থেকে ১৬টা বাদ দেয়া হয়েছে। এরপর নতুন করে ১১৯টা প্রতীক করা হয়েছে।’
শাপলা কলি প্রতীক যুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, প্রতীকে শাপলা কলি রাখা যেতে পারে। তাই যুক্ত করা হয়েছে। এটা কারো দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না। এনসিপি শাপলা প্রতীক চেয়েছে। তবে শাপলা কলির সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে।’
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নিয়ে কে কী বললো, সেটা দেখার বিষয় নয়। অমরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করছি। প্রতীক আজ সংশোধন হয়েছে, যদি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হয় আবারও পরিবর্তন করবে কমিশন। কমিশন স্বাধীন বলেই সংশোধন করেছে। কারও নেয়া না নেয়াটা ব্যাপার নয়।’
দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দল নিবন্ধনের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইসির যুক্ত করা ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে যা জানাল এনসিপি
এদিন ‘শাপলা কলি’সহ তিনটি প্রতীক তালিকায় যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে সই করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তবে তালিকায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাপলা প্রতীক চেয়ে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বলছে, শাপল কলি যুক্ত করে দলটির সঙ্গে প্রতারণামূলক আচরণ করা হয়েছে।
বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে যুবশক্তির এক সেমনিারে অংশ নিয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে শাপলা প্রতীক চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু গেজেটভুক্ত হয়েছে শাপলা কলি। কোনো ধরনের আইনি ব্যাখ্যা ছাড়াই আবারও এমন একটা পজিন নিলো নির্বাচন কমিশন, যেটা প্রশ্নের জন্ম দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাপলা কলি যদি দেয়া যায়, শাপলাও প্রতীক হিসেবে দেয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু এর মাধ্যমে কমিশন বুঝাল, তোমরা (এনসিপি) যা চেয়েছ আমরা তা দিলাম না। এমন একটা পজিশন দাঁড় করানো হলো, তোমরা (এনসিপি) আসলে ফুটো নাই, তোমরা এখনো বাচ্চা। এই ধরনের ন্যারেটিভ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর। যা এখনো মেনে চলছে ইসি।’
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·