শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা দুপুর ২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফজরের নামাজ শেষে আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল ছালেক তার দাদির কবর জিয়ারত করতে গেলে দেখা যায় কবরের মাটি তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল ছালেক কবরস্থানের পাশের বাসিন্দা বাবু মিয়া, লেবু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় বাবু মিয়া, লেবু মিয়া, চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, আশেকুর রহমান, আব্দুল জব্বার, আবেদা বেগম, সোহানা বেগম ও তানিয়া বেগম দলবদ্ধ হয়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এতে গুরুত্বর আহত হন আব্দুল ছালেক। খবর পেয়ে আহত আব্দুল ছালেককে উদ্ধার করতে যান তার দুই ভাই আব্দুল খালেক ও মাহবুবার। এরপর তাদেরকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে খুন্তি দিয়ে আব্দুল খালেকের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যান।
আরও পড়ুন: রাতের আঁধারে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াই কাল হলো শিহাবের
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তদের বাড়ির পাশেই কবরস্থান। নিহত আব্দুল খালেকের দাদির কবরের ওপরের মাটি কেটে নেন তারা। ফজরের নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত শেষে আব্দুল ছালেক কবর জিয়ারত করতে গেলে মাটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে মারধরের শিকার হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই আব্দুল খালেককে প্রাণ দিতে হলো।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে আহাজারি করে বলেন ‘আমার স্বামী নির্দোষ। কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই, হামার কাম করি দিন যায়। ওরা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে বিনা দোষে মারলো, সন্তানদের এতিম করল, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
নিহতের ভাতিজা জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্দোষ চাচাকে মেরে ফেলেছে। আমার বাবা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা এ ক্ষতি কেমন করে পূরণ করব!’
আরও পড়ুন: সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা: ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ
স্থানীয় বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আব্দুল খালেক। ৪০ শতক জমিই ছিল তাদের একমাত্র সম্বল। তার মৃত্যুতে পরিবার এখন সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·