কবরে নামফলক স্থাপন নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

২ সপ্তাহ আগে
প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর পর কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা এ মঞ্জিল থেকে সহজে মুক্তি পাবেন তাদের বাকি মঞ্জিলগুলো সহজ ও আরামদায়ক হবে। আর যারা এ মঞ্জিলে শাস্তি পাবেন তাদের পরবর্তী মঞ্জিলগুলো আরও ভয়ংকর হবে।

ইদানীং কবর পাকা করার প্রবণতা দেখা যায়। সেখানে মৃত ব্যক্তির নাম ও বিস্তারিত পরিচয়সহ দোয়াও লেখা থাকে। অনেকে জানতে চান, এসব তথ্যসমৃদ্ধ নাম ফলক দেয়া কি জায়েজ আছে?

 

আরও পড়ুন: সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া কি কিয়ামতের আলামত

 

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কবর চেনার জন্য নাম-ঠিকানা সংবলিত ফলক লাগিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে চিহ্ন দেয়ার অবকাশ রয়েছে। শুধু কবর শনাক্ত করে রাখার প্রয়োজনে এমনটি করা নিষেধ নয়।

 

হজরত উসমান ইবনে মাযউন (রা.) ইন্তেকালের পর তার দাফন শেষে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজনকে একটি পাথর নিয়ে আসার আদেশ দেন। কিন্তু সেই সাহাবি তা বহন করে আনতে সক্ষম হননি। তখন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথরটি নিজ হাতেই বহন করে উসমান ইবনে মাযউন (রা.)-এর মাথার কাছে এনে রাখেন এবং বলেন, এর দ্বারা আমার (দুধ) ভাইয়ের কবর চিহ্নিত করে রাখলাম এবং পরবর্তীতে আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে এর কাছাকাছি দাফন করব। (আবু দাউদ ৩২০৬)

 

জেনে রাখা ভালো প্রয়োজন পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত বা নাম-ঠিকানা ছাড়া অন্য কিছু, যেমন কোরআনের আয়াত বা বড় বড় কবিতা কিংবা প্রশংসা-স্তুতিমূলক বাক্য ইত্যাদি লিখে রাখা নিষেধ।

 

হজরত জাবের (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করা, তার উপর লেখা, কবরের উপর ঘর নির্মাণ করা এবং তা পদদলিত করা থেকে নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি ১০৫২)

 

আরও পড়ুন: কাজা নামাজ জামাতে আদায় করা যাবে?


এখন যেহেতু বড় বড় কবরস্থানগুলোতে কবর চিহ্নিত করা দুঃসাধ্য হয়ে যায় তাই কবরের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় লেখা যেতে পারে। (তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৬)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন