কনকনে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

২ সপ্তাহ আগে
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র মানুষ। এক সপ্তাহ ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা।

এতে ভুগছেন জেলার ১৬ নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষসহ দিনমজুর শ্রেণির মানুষেরাও। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এসব মানুষের শীত নিবারনে সরকারিভাবে ১২ হজার কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

 

জেলা শহরের ব্যাটারিচালিত অটোচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, দিনের বেলা ঠান্ডা একটু কম থাকলেও সন্ধ্যার আগেই বেড়ে আসে কুয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডা। রাতে গাড়ি চালানো যায় না।

 

আরও পড়ুন: রংপুরে তীব্র শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

 

কুড়িগ্রাম সদরের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চর যাত্রাপুরের বাসিন্দা দিনমজুর মজিবর রহমান বলেন, ‘শীত শুরু হয়েছে কিন্তু গরম কাপড় কিনতে পারি নাই। বউ-বাচ্চা নিয়ে কষ্টে রাত পার করছি। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো কম্বল পাই নাই।’

 

জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ উপজেলায় গরম কাপড় কেনার জন্য ২৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ

 

কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানায়, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন