কত বছর পর্যন্ত শিশুরা মায়ের দুধ পান করতে পারবে?

৪ সপ্তাহ আগে
মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। দিয়েছেন সুন্দর অবয়ব। সুনিপুণভাবে বেড়ে ওঠে প্রতিটি শিশু। তাদের জন্য মহান আল্লাহ মায়ের বুকে দিয়েছেন সবচেয়ে বিশুদ্ধ খাবারের ব্যবস্থা। তবে সব কিছুর সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। দুধ পানেরও রয়েছে নির্ধারিত সময়।

ইসলামি শরিয়তে শিশুকে দুধ পান করানোর সময়কাল দুই চন্দ্র বছর। অর্থাৎ শিশুর বয়স হিজরি সাল অনুযায়ী দুই বছর হলে দুধ পান করানো বন্ধ করে দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,

 

وَ الۡوَالِدٰتُ یُرۡضِعۡنَ اَوۡلَادَهُنَّ حَوۡلَیۡنِ كَامِلَیۡنِ لِمَنۡ اَرَادَ اَنۡ یُّتِمَّ الرَّضَاعَۃَ অর্থ: আর মায়েরা নিজেদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে, যদি দুধ খাওয়ার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৩৩)

 

আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টি ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে নবীজি যে দোয়া শিখিয়েছেন

 

আরেক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,

 

وَ وَصَّیۡنَا الۡاِنۡسَانَ بِوَالِدَیۡهِ حَمَلَتۡهُ اُمُّهٗ وَهۡنًا عَلٰی وَهۡنٍ وَّ فِصٰلُهٗ فِیۡ عَامَیۡنِ اَنِ اشۡكُرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیۡكَ অর্থ: আর আমি মানুষকে তার বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার বাবা-মায়ের শুকরিয়া আদায় করো। (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)

 

অনেকে মনে করেন, আড়াই বছর সন্তানকে দুধ খাওয়ানো যায়। এটি ভুল ধারণা। সন্তান অনূর্ধ্ব দুই বছর মায়ের বুকের দুধ খেতে পারবে। দুই বছরের বেশি বয়সী সন্তানকে দুধ পান করানো নাজায়েজ। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,

 

لا رضاع إلا في الحولين অর্থ: মায়ের দুধ পানের সময় দুই বছরই। (সুনানে দারাকুতনি: ৪/১৭৪; তাফসিরে মাজহারি: ১/৩২৩)

 

ইসলামি শরিয়তে শিশুকে দুধ পান করানোর প্রয়োজনে রমজানের ফরজ রোজা রাখার ক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মায়েদের ছাড় দেয়া হয়েছে। রোজা রাখলে তার নিজের স্বাস্থ্য অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করলে স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য রোজা না-রাখা বৈধ তো বটেই বরং এ অবস্থায় রোজা না-রাখাই উত্তম; রোজা রাখা মাকরুহ।

 

আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়া কি কিয়ামতের আলামত!

 

হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

মহান আল্লাহ মুসাফিরের অর্ধেক নামাজ ও রোজা মাফ করে দিয়েছেন আর অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য রোজা মাফ করে দিয়েছেন। (তিরমিজি: ৭১৫; ইবনে মাজাহ: ১৬৬৭)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন