এ দোয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ তায়ালা তার এক ‘কুন’ দ্বারা দুই জাহানের সব কিছু সৃষ্টি করতে সক্ষম। তাই তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাই আমাদের একমাত্র অবলম্বন।
اَللّٰهُمَّ الْطُفْ بِيْ فِيْ تَيْسِيْرِ كُلِّ عَسِيْرٍ، فَإِنَّ تَيْسِيْرَ كُلِّ عَسِيْرٍ عَلَيْكَ يَسِيْرٌ، وَأَسْأَلُكَ الْيُسْرَ وَالْمُعَافَاةَ فِيْ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ، اَللّٰهُمَّ اعْفُ عَنِّيْ فَاِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيْمٌ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাল্লুতফ্ বি ফি তায়সিরি কুল্লি আসির, ফা-ইন্না তায়সিরা কুল্লি আসিরিন আলাইকা ইয়াসির, ওয়া আসআলুকাল ইউসরা ওয়াল মুআফাতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ। আল্লাহুম্মা-ফু আন্নি ফা-ইন্নাকা আফুউন কারিম।
আরও পড়ুন: নাতনিকে হারানোর শোকে পাগলপ্রায় গাজার খালেদ নাভান বিমান হামলায় নিহত
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! তামাম মুশকিল আসান করে আমার উপর রহম করুন। কারণ, মুশকিল আসান করা আপনার পক্ষেই সহজ। (সুতরাং এই দরখাস্ত মঞ্জুর করা আপনার জন্য কোনো বিষয়ই নয়) আমি আপনার কাছে চাই দুনিয়া ও আখিরাতের সহজতা ও নিরাপত্তা। ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। আপনি তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আকবর এলাহাবাদী কী সুন্দরই না বলেছেন, যিনি এক ‘কুন’ দ্বারা দুই জাহান পয়দা করেছেন, তিনি কি পারবেন না এক আমার অন্তরকে খুশি করতে? দুর্বল মানুষ আখেরাত তো দূরের কথা, দুনিয়ার কষ্টসমূহও সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না।
এ দোয়া আমাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা সৃষ্টি করে। দুনিয়ার জটিলতা কিংবা আখিরাতের ভয়াবহতা—কোনোটিই আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও সহজতার প্রার্থনা আমাদের আত্মিক শান্তি দেয় এবং জীবনকে সহজ ও অর্থবহ করে তোলে। আমাদের জীবনের প্রতিটি মূহূর্তে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা এবং তাঁর ওপর পূর্ণ নির্ভরশীলতা আমাদের সফলতার মূলমন্ত্র হতে পারে।
]]>