মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ।
তবে গ্রেফতার তিনজনেরই বাড়ি খুলনায় বলে তথ্য দিলেও তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক জানাতে পারেন তিনি।
রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যে পুলিশ জানতে পারে ঘটনায় জড়িত নারীসহ কয়েকজন আসামি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার থেকে জেলা পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজারে অবস্থান করে অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: কাফরুল থানায় করা হত্যা মামলায় কারাগারে কামাল মজুমদার
এক পর্যায়ে গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মৌলভীবাজার থেকে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুর সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে আসা ওই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটিও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে ওই নারী কক্সবাজার ঘুরতে এসে কাউন্সিলর টিপুর সঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন। আর ঘটনার পর থেকে ওই নারীর সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেফতার অপর দুজন হত্যাকাণ্ডের মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।’
গ্রেফতারদের মৌলভীবাজার থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে এবং বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করা হবে বলে জানান মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় সাবেক এমপি অভি খালাস
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন হোটেল সী-গালের সামনে রাস্তার ফুটপাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি ) সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপুকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় র্যাব টিপুর সঙ্গে বেড়াতে আসা কেসিসির আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ ইফতেখার হাসান সালু ও কক্সবাজারের বন্ধু মেজবাহ উল্লাহ ভূট্টোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ তাদের আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এখনো তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেননি আদালত।