সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ফিশারিঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।
জব্দ এফবি শাহ সমিউদ্দিন নামের ট্রলারটির মালিক চট্টগ্রামের পটিয়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বাদশা।
কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গভীর সমুদ্রে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটের মাধ্যমে মাছ শিকার। এতে মৎস্য সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃত জেলেরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল বলেন, সকালে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ফিশারিঘাট এলাকায় গভীর সাগরে মাছ ধরার নিষিদ্ধ ট্রলিং ট্রলার অবস্থানের খবর পায় কোস্ট গার্ড। পরে কোস্ট গার্ডের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণসহ একটি নিষিদ্ধ ট্রলিং ট্রলার জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪ দিন পর সেন্টমার্টিনে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক
তিনি জানান, অভিযান শেষে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বিষয়টি অবহিত করে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলার মালিককের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঘটনায় ট্রলারটি জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, ট্রলিং বোট ব্যবহারের কারণে মৎস্য সম্পদে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মাছের পোনা-ডিম সহ নির্বিচারে মাছ শিকারের ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে এবং মাছের প্রজনন কমে যাচ্ছে। জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি সাগরে যেন মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী ট্রলিং নিষিদ্ধ নিশ্চিত থাকে।