চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২০ এপ্রিল রাত সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার কাঁকড়ার ইউনিয়নের দরগা রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পর্যটক শাহাদাত হোসেন (২৩) নোয়াখালী জেলার বসুরহাট পৌরসভার নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে বান্দরবান শহর থেকে মোটরসাইকেলে তারা ৬ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় তারা সব বন্ধুরা একটু আগে পিছে পথ চলছিল। তবে গাড়ি নিয়ে শাহাদাত হোসেন সবার পেছনে চলছিলেন। ওইদিন রাত সোয়া ৩টার দিকে চকরিয়ার দরগা রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জন লোক পিকআপ নিয়ে এসে তার মোটর বাইকটির গতিরোধ করে থামায়।
ভুক্তভোগী পর্যটক শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্বৃত্তরা আমাদের গাড়ি গতিরোধ করলে এ সময় আমি গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে আঘাত লেগে মাথা থেকে হেলমেট পড়ে যায় এবং আমি মোটর বাইক থেকে পড়ে যাই। এ অবস্থায় লোহার রড় দিয়ে দুর্বৃত্তরা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে সেখানে বাইকটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করি।'
তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে কিছুদূর যাওয়া পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকায় সংযোগ পাইনি। পরে নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে বন্ধুদের ফোনে কল দিয়ে ঘটনা অবহিত করি। এর ১০ মিনিট পরই বন্ধুরা হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। এসময় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনার খোঁজ খবর নিয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রিপল মার্ডার মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার
এরপর গত রোববার সকালে তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান শাহাদাত হোসেন।
এ ব্যাপারে জানতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার ঘুরতে আসার পথে চকরিয়ায় এক পর্যটক ছিনতাই ও মারধরের শিকার হওয়ার ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগটির ব্যাপারে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।