রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার কবির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন বলে জানান, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার।
গ্রেফতার আসামি হুমায়ুন কবির বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে। ঘটনায় নিহত মাহমুদুল হক উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুখালী এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর ) রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ফের সক্রিয় আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র
ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, রোববার সকালে আসামি হুমায়ুন কবিরকে চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আনোয়ার কবিরের আদালতে নেয়া হয়। পরে বিচারকের কাছে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসময় তিনি (আসামি) ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর ) রাতে নিহত মাহমুদুল হকসহ উখিয়ার তিনজন ও ঈদগাঁও উপজেলার একজনসহ চার বন্ধু মিলে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে খাগড়াছড়ি জেলার ‘সাজেক’ পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। রাত ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং ঢালা এলাকায় পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত রশি টেনে তাদের গাড়ি দুটি গতিরোধ করে।
এসময় মোটরসাইকেল আরোহী ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে গাড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় আহত অপর ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( চমেক ) প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পুলিশের ওপর গুলি: প্রধান আসামি আবু সৈয়দ গ্রেফতার
ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
]]>