নিহত মিছবাহ উদ্দিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং কক্সবাজার শহরে একাধিক ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজারস্থ বাঁশখালী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ খান জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিছবাহ উদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। তবে এটি নিছক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, নাকি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাঁশখালী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মিছবাহ উদ্দিন ফজরের নামাজ পড়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে ছাদে যান। কিছুক্ষণ পর লোকজন তাকে নিচে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখতে পান।
আরও পড়ুন: ঘরে মিলল মা-মেয়ের মরদেহ, ছাদ থেকে লাফিয়ে পালালো বাবা
তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের ছাদ থেকে একটি দেহ নিচে পড়ছে, তবে কোনো চিৎকার বা নড়াচড়ার লক্ষণ দেখা যায়নি। একটি ফুটেজে একজনকে ছাদের ধারে দাঁড়িয়ে নিচে উঁকি দিতে দেখা গেছে, যা ঘটনাটিকে আরও রহস্যজনক করে তুলেছে।
পরিবার ও স্বজনদের দাবি, মিছবাহ উদ্দিনের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা নিয়ে কিছু লোকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তাদের মতে, এ বিরোধ থেকেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ওসি ইলিয়াছ খান জানান, মরদেহ বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।