স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দূতাবাসের নিজস্ব মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সিনিয়র জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) মেজর জেনারেল ববি লি ক্রিস্টিন। এছাড়া ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী সচিব আল্লা পি কামিন্স উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী সচিব আল্লা পি কামিন্স উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক , ডিফেন্স অ্যাটাচে, পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথি যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সিনিয়র জজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) মেজর জেনারেল ববি লি ক্রিস্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব দক্ষতাকে আমরা সম্মান করি, বিশ্বব্যাপী যা প্রশংসিত।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে সবাই শ্রদ্ধার চোখে দেখে। উচ্চতর প্রশিক্ষণসহ আমরা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আগামী দিনে পারস্পরিক এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমরা আরও জোরদার করতে চাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আমাদের শান্তি ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জন্যে সম্মান বয়ে আনে।
দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন খান তার স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান, উন্নততর প্রশিক্ষণসহ নিবিড় সম্পর্ক বহু বছরের। এই সম্পর্ক আমরা আগামী দিনের আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব সব সময় সৌহার্দ্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ‘বানৌজা বিশখালি’ যুদ্ধজাহাজ দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরা
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যেমন পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে, একই সঙ্গে সর্বোচ্চ ত্যগ শিকার করেছে। আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর যারা শহীদ হয়েছেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি,শ্রদ্ধা জানাই। আমি শ্রদ্ধা জানাই ২০২৪’র জুলাই বিপ্লব’র শহীদদের প্রতি। জুলাই বিপ্লবে যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তো বটেই সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধ হোক, এই প্রত্যাশা করি।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বিশেষ কেক কেটে ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয় । অনুষ্ঠানটিপরিচালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (লোকাল) নাজনীন সুলতানা।

১৮ ঘন্টা আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·