ওষুধের দাম হবে বিজ্ঞানসম্মত ও জনগণমুখী: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

২ সপ্তাহ আগে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, ওষুধ বা মেডিকেল কলেজ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মতামত, দলীয় বক্তব্য নয়। শিল্পবান্ধব হতে হবে-এটা ঠিক। তবে প্রশ্ন করলে পৃথিবীর সব রাজনৈতিক দলই বলবে-সরকার ওষুধের প্রশ্নে জনগণের পক্ষেই থাকবে। আমরাও অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে স্পষ্টভাবে জনগণের পক্ষেই আছি।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফরও উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।


অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হোস্টাইল হতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি-বিজ্ঞানসম্মত, বিশ্বের অভিজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে, যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত মুনাফার সুযোগ রেখে মানুষের জন্য ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে চাই।’


তিনি আরও বলেন, স্বাধীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গিয়ে দাতা সংস্থার ওপর চরম নির্ভরতার মাঝেও আমরা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছি। একটা ক্ষত বা ফোঁড়া কাটতে গেলে কিছু ভালো মাংস কেটে ফেলতে হয়। সেভাবেই কিছু বিঘ্ন হচ্ছে। আশা করছি আগামী দেড়-দুই মাসের মধ্যে এগুলো কেটে যাবে এবং আমরা স্বাধীনভাবে স্বাস্থ্যসেবা চালাতে পারব।


পেশা বা কর্মস্থল পরিবর্তনের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, কোনো পেশাজীবীকে বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। যে কেউ ভালো সুযোগ পেলে গ্রহণ করবে। স্বাস্থ্যখাত আকর্ষণীয় করে তুলতে পারলেই দক্ষ জনবল ধরে রাখা সম্ভব হবে।


আরও পড়ুন: জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম ঠিক করবে সরকার: হাইকোর্ট


আইসিইউ ব্যবস্থার দুরবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনার অভাবে আইসিইউ সংক্রান্ত জনবল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এবার আমরা জরুরি সেবার নতুন সাবজেক্ট চালু করেছি, শিগগির ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। আসলে আইসিইউ মানে শুধু ‘আইসিইউ’ নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবা-এ নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে।


অ্যাম্বুলেন্স সেবার অনিয়ম প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। আসলে এগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সও বলা যায় না। যেমন- ওষুধের দোকান ফার্মেসির নামে চলছে। সঠিক মানদণ্ড নির্ধারণ করলে বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সের ১০ শতাংশও টিকবে না।


চিকিৎসকদের ফি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিকিৎসকের পেশাগত ফি বাংলাদেশে নির্ধারিত নয়, অনেক দেশে তা নির্ধারিত। দরিদ্র রোগীরা আসেন বলেই এখানে প্রশ্ন ওঠে। চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে প্রফেশনাল ফি নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে আমাদের দেশে রেফারেল সিস্টেম না থাকায় মানুষ প্রয়োজন না থাকলেও সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যায় এবং অযথা বেশি খরচ হয়।


নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা প্রত্যেক বিশেষজ্ঞকে পদোন্নতি দিচ্ছি। কেউ বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বাদ পড়লে তা শর্ত পূরণ না করার কারণে। নিয়োগ এমন প্রতিষ্ঠান দিয়ে করা হচ্ছে, যা বিশ্বস্বীকৃত। অতীতে এমন হয়নি, ভবিষ্যতেও কেউ করতে চাইবে না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন