এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। শুরুতেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় তারা। শাহ ফয়সালের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। এরপর মোহাম্মদ হারিস ছাড়া বাকিদের কেউ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত হারিসের ৬৬ রানের ওপর ভর করেই ১৬০ রানের পুঁজি পায় সালমান আগার দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওমান। পাওয়ার প্লেতে তাদের দুই ওপনারকে ফেরান সাইম আইয়ুব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ক যতিন্দর সিংকে সাজঘরে ফেরান সাইম। দলীয় ২৪ রানের মাথায় আমির কালীমকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন এই বোলার।
আরও পড়ুন: অবসরের আগেই চাকরির বন্দোবস্ত করে রাখলেন খাজা
তার কিছুক্ষণ পর মোহাম্মদ নাদিমকে সাজঘরে পাঠান সুফিয়ান মুকিম। আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৩ রান। পরের ওভারে সুফিয়ান মেহমুদকে আউট করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
৫০ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওমান। শেষদিকে আর কোনো ব্যাটার তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় ১৬.৪ ওভারে মাত্র ৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় ওমান। সাইয়ুম আইয়ুব, সুফিয়ান মুকিম ও ফাহিম আশরাফ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহিন আফ্রিদি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: বুলবুলের জন্য নিজের জায়গা ছেড়ে দিলেন আশরাফুল
এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার সাইম আইয়ুরে উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর শাহিবজাদা ফারহানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ হারিস। ২৯ বলে ২৯ রান করে আমির কালীমের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফারহান ফিরলে ভাঙে তাদের ৬৪ বলে ৮৫ রানের জুটি।
এরপরই যেন পাকিস্তানিদের আরও চেপে ধরেন ওমানের বোলাররা। ১১ রানের ব্যবধানে ওমান ৩ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। হারিস ৪৩ বলে ৬৬ রান করে বোল্ড হন আমির কালীমের ওভারে। পরের বলেই সালমান আগা আয়ুবের মতো গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান।
হাসান নাওয়াজ ১৫ বলে ৯ রান করে আউট হওয়ার পর ১০ বলে ক্যামিও খেলেন আরেক নাওয়াজ। শেষ ওভারে আউট হওয়া ফাহিম আশরাফ ৪ বলে করেন ৮। ফখর জামান শেষ পর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭টির মধ্যে শাহ ফয়সাল ও আমির ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ নাদীম।
]]>