মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর বালাজির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এতদিন তা গোপন রাখা হয়েছিল। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে- সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে জানানোর মতো কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর একটি। বর্তমান বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাট জিপিটি এই কোম্পানির তৈরি একটি অ্যাপ।
আরও পড়ুন: সামর্থ্যের শেষ সীমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!
সুচির বালাজি ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানির কর্মী ছিলেন। গত আগস্টে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওপেন এআই’র দুর্নীতি নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটান বালাজি।
তিনি বলেন, চ্যাট জিপিটি প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে ওপেন এআই। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
আপনি যদি ওপেন এআইয়ের কর্মী হতেন, তাহলে আমি যা জানি, তা জানার পর নিশ্চিতভাবেই আপনি সেই কোম্পানি ত্যাগ করতেন। তারা যেভাবে ব্যবসা করছে, সেটি কোনোভাবেই ইন্টারনেট ইকোসিস্টেমের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
সেই সাক্ষাৎকারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একাধিক বার্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘যথেচ্ছ ব্যবহার’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন সুচির বালাজি। সর্বশেষ পোস্টে তিনি বলেছিলেন, বিভিন্নভাবে চ্যাট জিপিটিরও অপব্যবহার হচ্ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে এই খাতের বাণিজ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে এআইর চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী
প্রসঙ্গত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার উসকে দেয়ার অভিযোগে ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওপেন এআই’র বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। সুচির বালাজির স্বীকারোক্তি সেসব মামলার বিচারকাজে নতুন গতি যোগ করেছিল।
এদিকে বালাজির মরদেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছে ওপেন এআই। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই হৃদয়বিদারক সংবাদে আমরা শোকাহত। সুচিরের স্বজনরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
সূত্র: এনডিটিভি
]]>