ঘটনার সময়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেখানে ছিলেন না। কিন্তু নিরাপত্তা ভেঙে সেই প্যাকেট ভিতরে ঢুকল কীভাবে, তা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অফিস অফ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশনস (ওএসআই)।
জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্যাকেটের ভেতরে সাদা পাউডার ছিল। সেটা খুলতেই সাতজন কর্মী জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিমান ঘাঁটির ভেতরেই ম্যালকম গ্রোভ মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পরই পুরো বিমান ঘাঁটি খালি করে দেয়া হয়। মোতায়েন করা হয় বিশেষ বাহিনী। সন্দেহজনক সাদা পাউডারের প্যাকেটটি হ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়ালস টিমের হাতে তুলে দেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ফিল্ড টেস্টে কোনো বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের হদিশ মেলেনি।
আরও পড়ুন: জব্দ রুশ সম্পদ ইউক্রেনকে দেয়ার ইইউ পরিকল্পনায় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের
তবে এখনও তদন্ত চলছে। বিমান ঘাঁটির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে এলেই পুরোটা বোঝা যাবে।’ হ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়ালস টিম প্যাকেট নিয়ে চলে যাওয়ার পরে পুরো বিমান ঘাঁটি স্যানিটাইজ করা হয়।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালেও ঘাঁটি আংশিক বন্ধ ছিল। শুধু অনুমোদিত কয়েকজন কর্মীকেই প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
ওয়াশিংটন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মেরিল্যান্ড প্রিন্স জর্জেস কাউন্টিতে অবস্থিত জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ বিমান ঘাঁটি। এখানেই থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান। প্রেসিডেন্টরা এখানে আসেন, বিমানে চড়েন।
শুধু প্রেসিডেন্টই নন, শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই বিদেশ সফরে গেলে এই বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করেন। ফলে বিমান ঘাঁটি তো বটেই, কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে পুরো এলাকা। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনায় চোখ কপালে উঠে গেছে তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ভ্যান্স, জানালেন রুবিও
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·