মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পাঁচবারের আইপিএলজয়ী। মুম্বাইয়ের নারী দলও একবার আইপিএল জিতেছে। তাদের দল আছে মেজর লিগ ক্রিকেট, আইএলটি২০ ও দ্য হান্ড্রেডে। আইএলটি২০-তে এমআই এমিরেটস গত বছরই শিরোপা জিতেছে। আর সপ্তাহখানেক আগে মালিকানা কেনার পর ওভাল ইন্সিভিন্সিবল এখনও কোনো ম্যাচ খেলেনি।
ফাইনালে এমআই সানরাইজার্সকে হারিয়েছে ৭৬ রানে। তাদের ১৮১ রানের জবাবে ১০৫ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় টানা দুবারের চ্যাম্পিয়নদের। মজার ব্যাপার হলো, গত দুই মৌসুমেই পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল ছিল এমআই। আর এবার প্লেঅফে উঠেছিল সেরা দল হিসেবে, শেষও করল সেরা হিসেবেই।
আরও পড়ুন: ফিলিপস ঝড়ে উড়ে গেল পাকিস্তান
ফাইনালে কাগিসো রাবাদা ৪টি উইকেট নিলেও বিচারকেরা ম্যাচসেরার জন্য ২ উইকেট শিকারি ট্রেন্ট বোল্টকে নির্বাচিত করেছেন। তার মানে দাঁড়ায় বোল্ট ব্যাট হাতে কিংবা ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ কিছু করেছেন। কিন্তু এর কোনোটিই নয়, বোল্ট অসাধারণ কাজটা করেছেন বল হাতেই। ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন তিনি, তাও এমন একটি ম্যাচে যেখানে বোল্টের এমআই প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে তুলেছিল ১৮১ রান। বোল্ট নেন জরডান হারম্যান ও ত্রিস্টান স্টাবসের উইকেট। আর রাবাদার শিকার ডেভিড বেডিংহ্যাম, মার্কো ইয়ানসেন, লিয়াম ডওসন ও রিচার্ড গ্লেসন।
গতকালই বিয়ে করার কথা ছিল ডেভিড বেডিংহ্যামের। কিন্তু ফাইনালের কারণে বিয়ে একদিন পিছিয়ে দেন তিনি। তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হচ্ছে খানিকটা ভাঙা মন নিয়ে। ফাইনাল হারের সঙ্গী এই ওপেনার যে ৫ রানের বেশি করতে পারেননি, বড় কথা তার দল শিরোপা হারিয়েছে। বোল্টের কিপটেমিতে চাপে পড়া সানরাইজার্স ৮ রানেই হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। হারম্যান করেন ১।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি উন্মোচন করল পাকিস্তান, কেমন হলো
ওপেনার টনি ডি জর্জির সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন টম অ্যাবেল। ২৫ বলে ৩০ রান করা আবেল ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। জর্জির ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রান। এইডেন মারক্রাম দ্রুতই ফিরে যান ৬ রান করে। এরপর স্টাবস ছাড়া আর কেউই দশের ঘর ছুঁতে পারেননি। স্টাবস করেন ১৫। ১০ বল বাকি থাকতেই সব কটি উইকেট হারিয়ে ফেলে সানরাইজার্স। রাবাদা ৪ উইকেট নিয়েছেন ২৫ রানে। আর রশিদ খান ১ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১৯ রান।
এমআইয়ের ৮ উইকেটে ১৮১ রানের মধ্যে কনর ইস্টারহুইজেন ৩৯, দেওলাদ ব্রেভিস ৩৮, রায়ান রিকেলটন ৩৩, ফন ডার ডুসেন ২৩, জর্জ লিন্ডে ২০ ও ডেলানো পটজিটার ১৩ রান করেন। সানরাইজার্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ইয়ানসেন, গ্লেসন, ডওসন। একটি করে শিকার করেন ক্রেগ ওভারটন ও মারক্রাম।
সিরিজসেরা হয়েছেন সর্বোচ্চ ১৯ উইকেটশিকারি ইয়ানসেন।