এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

২ সপ্তাহ আগে
পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে খুলনায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিও করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টা থেকে কেএমপি সদর দফতরের সামনে খানজাহান আলী সড়কে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। 


অবস্থানের সময় তারা সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

 

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এসআই সুকান্ত দাশ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়ন, হামলা ও গণগ্রেফতারে জড়িত ছিলেন। তার নামে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

 

এক আন্দোলনকারী বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তে হাত রাঙানো সুকান্তকে ছেড়ে দিয়ে কেএমপি প্রমাণ করেছে, তারা গণমানুষের পক্ষে নয়। তাই আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

 

আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলের সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে ‘জীবনশঙ্কা’

 

এদিকে, এসআই সুকান্ত দাশকে গ্রেফতারের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি বলেন, সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতারে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। বর্তমানে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

 

এর আগে খুলনা পুলিশ, সদর দফতর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে সুকান্তকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাকে খুলনায় আনা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুল শিক্ষককে গুলির প্রতিবাদে বিএনপির মানববন্ধন

 

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্তকে গণপিটুনি দিয়ে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। কিন্তু রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।

 

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে তারা কেএমপি সদর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং একপর্যায়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে রাত ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা সরে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা ফটকের তালা ভেঙে বাইরে আসেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন