এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেফতার, পাঠানো হলো কারাগারে

২ সপ্তাহ আগে
খুলনায় মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া সেই উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ সদর দপ্তর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল অভিযান চালায়।


মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই সুকান্ত দাস গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালায়। খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়া খুলনা নগর বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ অন্তত চারটি মামলা চলমান রয়েছে।
 

গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) একটি মামলায় সাক্ষী দিতে খুলনা আদালতে যান এসআই সুকান্ত দাস। সেদিন খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।


পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এসআই সুশান্ত দাসকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ওই এসআইকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার তিওরবিলা ক্যাম্পে কর্মরত।

আরও পড়ুন: এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) মিজানুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি মূলে তাকে আদালতে সোর্পদ করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর ১৩৯১, তারিখ ২৬ জুন ২০২৫।


চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. মারুফ সরোয়ার বাবু বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে আরও একটি মামলা রয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, আসামিকে ফৌ. কা. ৫৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন