দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
এসব ব্যাংক হিসাবে ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা জমা রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বিভিন্ন শাখার বিভিন্ন হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: পরিবারসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ২৬টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ
অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এ জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৮ ধারার বিধান মতে ব্যাংক হিসাব সমূহ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
গত ১৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবে দুই হাজার ৬১৯ কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার টাকা রয়েছে বলে আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
]]>