লিটন বলেন, ‘আমার মনে হয় ওভারঅল আমরা এশিয়া কাপের আগে এবং এশিয়ার কাপের প্রথম ৩-৪ ম্যাচ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। তাদের স্পিন কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল। আমরা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারিনি। পাকিস্তানের সঙ্গে যেরকম টার্গেট ছিল, বিশ্বাস ছিল চেজ করব। ক্রিকেটে আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা ব্যাটার হিসেবে এখানে ব্যর্থ হয়েছি। সমস্যা কিছু না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলই খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের আগে তরুণ ক্রিকেটার পরিণত ক্রিকেটার বানানোর প্রক্রিয়ার দিকে জোর দিচ্ছেন লিটন, ‘বড় মঞ্চে প্লেয়ারের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও দরকার। একজন প্লেয়ার যখন নিয়মিত বড় মঞ্চে খেলবে, তার জন্য ডেলিভারি করাটা সহজ হবে। চেষ্টা থাকবে যারা খেলে তারা যেন সিনিয়র প্লেয়ার হয়। এমন না যে নিউকামার আসবে না। তবে যখন বড় মঞ্চে খেলছেন তখন পরিণত প্লেয়ার যেন দলে থাকে।’
প্রায় ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা লিটনের। এই ১০ বছরে তার সবচেয়ে বড় সমস্যা ধারাবাহিকতা। এবারের এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে মোটামুটি ধারাবাহিক ছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে খেলেছেন দায়িত্বশীল কয়েকটি ইনিংস। এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে লিটন বলেন, ‘সামনে কাজে দেবে কি না নির্দিষ্ট দিনেই বোঝা যাবে। বড় মঞ্চে যেকোনো পারফরম্যান্সই আলাদা বুস্টআপ করে। এখন আগে রিকভারি করতে হবে। সামনে যে সিরিজ খেলব চ্যালেঞ্জিং হবে।’
আরও পড়ুন: সৌম্যর বদলি হিসেবে এনসিএলে সাকিব
ইনজুরির কারণে শেষ দুটো ম্যাচে ডাগআউটে বসে থাকতে হয়েছে৷ সেটা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন লিটন, ‘থাকতে পারলে ভালো হতো। এশিয়া কাপে অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচ। ছোট থেকেই দেখি এগুলো অনেক বড় নাম। বড় দলের সঙ্গে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলতে পারিনি। খেলতে পারলে খুব ভালো লাগত।’
এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন সাইফ হাসান। তবে দলের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাননি জায়গাও। তবে ওই ম্যাচের পর থেকেই দলের চেহারা বদলে যাওয়ার পেছনে বড় অবদান সাইফের। বাংলাদেশ যে দুটি ম্যাচে জিতেছে তাতে বড় অবদান ছিল সাইফের। আবার ভারতের বিপক্ষেও করেছেন ফিফটি। নিয়েছেন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও।
আরও পড়ুন: রাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, সৌম্য এখনও দেশে
এই ব্যাটারকে নিয়ে লিটন বলেন, ‘খেলোয়াড় নির্বাচনের সময় আমরা ধারণা নিয়েই করি। সাইফ যে স্টাইলে ব্যাট করে আমিরাতে এটা কাজে লাগবে হয়তো (এমন চিন্তা ছিল)। সে সোজা ব্যাটে ভালো খেলে। মাঝে ১-২ ওভার বলও করতে পারে। সে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। যা এই টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ দলের বড় পাওয়া। আশা করব সামনেও ভালো করে যাবে।’
এশিয়া কাপের শেষ দুই ম্যাচে লিটনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করেছেন জাকের আলী। অধিনায়কত্বে নতুন হলেও জাকেরের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত আস্থা খুঁজে পাচ্ছেন লিটন, ‘জাকের আলি অনেকদিন পরে এমন বড় দায়িত্ব পেল ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে। একজন যখন রেগুলার অধিনায়কত্ব করে না, তার জন্য কঠিন। তবে সে ভালো ফিডব্যাক দিয়েছে। এতদিন না করেও যেভাবে অধিনায়কত্ব করেছে বাংলাদেশের। আশা করি সামনের সিরিজে আরও ভালো করতে পারবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া সিরিজ নিয়ে লিটন বলেন, ‘প্রস্তুতি খুবই ভালো। প্লেয়াররা সেখানে আছে। কন্ডিশন ও টিম নিয়ে জানে সবাই।’