মাস দেড়েক আগেও ছিলো চরম অনিশ্চয়তা। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন এ বছর এশিয়া কাপ হচ্ছেনা। পেহেলগাম কাণ্ড উস্কে দেয় ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। আর তাতে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে উত্তপ্ত হয় ক্রিকেটাঙ্গনও। সে কারণেই এশিয়া কাপ আয়োজন একরকম অসম্ভব মনে হতে থাকে। যদিও ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভার সফল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বদলে যায় দৃশ্যপট। এসিসি জানিয়ে দেয়, ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ।
এরপর থেকেই দলগুলোর প্রস্তুতি শুরু। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড হোস্ট হলেও, সংযুক্ত আরব আমিরাতে হচ্ছে আসর। বছরের এই সময়ে সেখানকার অসহনীয় গরমে খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে প্রতিটি দলকে। সে হিসেবে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলা পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর স্বাগতিক আমিরাত ক্রিকেটাররা অন্য দলগুলোর তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে।
সবশেষ ২০২৩ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এশিয়া কাপ। সেবার শিরোপা জেতে আসরের সফলতম দল ভারত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এশিয়া কাপের প্রথম চ্যাম্পিয়নও মেন ইন ব্লু। যদিও সংক্ষিপ্ত সংস্করণের আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লঙ্কানরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নয়, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকেই সুপার ফোরে দেখছেন হার্শা ভোগলে
৩ বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হচ্ছে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। প্রথমবারের মতো দলসংখ্যা ৮টি। গ্রুপ 'এ'তে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। আর গ্রুপ বি'তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। মোট ১৯ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২ ভেন্যুতে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দু'দল। সুপার ফোরেও সুপার ক্ল্যাসিকো উপভোগের সুযোগ পেতে পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮ বার শিরোপা জিতেছে ভারত, ৬ বার শ্রীলঙ্কা আর ২ বার জিতেছে পাকিস্তান। সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যোগ করতে চাইবে তারা। বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানও।