সরেজমিনে দেখা যায়, আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর ওপর বাঁকড়া সেতুটির মাঝ বরাবর ধসে যায় ২০২২ সালের ৪ জুলাই। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ও শোভনালী ইউনিয়নের এই সংযোগ সেতুটি দিয়ে কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। ধসে যাওয়ার পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। তবে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
এই দুই বছরেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির কারণে সেতুটি সংস্কার কিংবা ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সেতুটি ভেঙে পড়ায় যাতায়াতের খুবই অসুবিধার কথা উল্লেখ করে স্থানীয়রা জানান, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। রোগী নিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিশেষ করে ডেলিভারি রোগীর জন্য চরম বিপাকে পড়তে হয় তাদের। গরীবের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তারা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বাতাসেই ভেঙে পড়ল সেতু!
আশাশুনির কুন্দুড়িয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয় উল্লেখ করে বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
সেতুটি বুধহাটা ও শোভনালী ইউনিয়নের সেতুবন্ধন উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, এই সেতু দিয়ে শোভনালী ইউনিয়নের বহু মানুষকে সাতক্ষীরার জেলা সদরে যেতে হয়। শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
আরও পড়ুন: গ্রামবাসীর তৈরি সেতুতে চাঁদা তুলছেন প্রভাবশালীরা!
এদিকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো কামরুজ্জামান বলেন, সেতুটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ করা। সুতরাং সংস্কারও করবে ওই মন্ত্রণালয়।
আর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এলজিইডিকে সেতুটি নির্মাণে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এই বাঁকড়া সেতুটি নির্মাণ করে।