এমি মার্টিনেজকে ঘোল খাইয়ে এফএ কাপের ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেস

২ সপ্তাহ আগে
গত অক্টোবরেও প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শেষের তিন দলের একটা ছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। টানা আট ম্যাচে একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। কোচ অলিভার গ্লাসনারের চাকরি নিয়েই তখন টানাটানি। সেই ক্রিস্টাল প্যালেসই কি-না এখন শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা অ্যাস্টন ভিলাকে উড়িয়ে দিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে উঠে গেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।

শনিবার ( ২৬ এপ্রিল) এফএ কাপের সেমিফাইনালে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ঈগলদের জয়ের নায়ক সেনেগালিস উইঙ্গার ইসমাইলিয়া সার। জোড়া গোল করেছেন তিনি। বাকি গোলটি এবেরেচি এজের।


নিজেদের ১২০ বছরের ইতিহাসে কখনোই এফএ কাপের শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি ক্রিস্টাল প্যালেস। এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল তারা।

 

১৯৯০ ও ২০১৬ সালে এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছিল ইগলরা। দুবারই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। রোববার (২৭ এপ্রিল) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ নটিংহ্যাম ফরেস্ট।


আরও পড়ুন: ব্রাহিমের হোঁচটে রিয়ালের সর্বনাশ, কোপা দেল রে’র চ্যাম্পিয়ন বার্সা


এমি মার্টিনেজের দলের বিপক্ষে ক্রিস্টাল প্যালেস লিড পায় ৩১ মিনিটে। ইসমাইলিয়া সারের বাড়ানো বল ডানপাশে পান এবেরেচি এজে। বল রিসিভ করেই দারুণ বাঁকানো শটে মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন এই এজে।


৫৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় প্যালেস। কিন্তু জ্যা ফিলিপ মাতেতা সেই সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় তারা।


 

তৃতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেস। ছবি: এপি


তবে পাঁচ মিনিট পর সুযোগ ঠিকই কাজে লাগিয়েছেন ইসমাইলিয়া সার। নিজেদের অর্ধে বলের দখল হারান ইয়ুরি তিয়েলেমানস। মাতেতা দ্রুত সারকে বল বাড়ান। এই সেনেগালিস উইঙ্গারের জোরাল শট চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না মার্টিনেজের।


সারই এদিন প্যালেসের জয়ের নায়ক। ম্যাচের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান এই সেনেগালিস। এনকেটিয়ার চাপে তিয়েলেমানস বল হারান। এনকেটিয়া বল বাড়ালে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান সার।

 

আরও পড়ুন: চেলসি-নিউক্যাসলের জয়ে জমে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াই


সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ৯ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে অ্যাস্টন ভিলা (ড্র একটি)। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ৬ ম্যাচের ৩টিতেই হেরেছে ভিলা (বাকি তিনটিতেই জিতেছে)।  অথচ এর আগে সমান সংখ্যক হারের জন্য লেগেছিল ২১ ম্যাচ।


শেষ চার দেখার তিনটিতেই অ্যাস্টন ভিলাকে হারাল প্যালেস (বাকিটি ড্র)। এর আগে ২০১৫-১৬ স্টোক সিটির বিপক্ষে একই কীর্তি গড়েছিল তারা।  
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন