এবার সেট-পিসে মনোযোগ কারবেরার

ভারতের মাঠে সবশেষ দেখায় বাংলাদেশ হেরেছিলো শেষ দিকে সেট-পিসে গোল হজম করে। সেই কথা অবশ্য ভুলেননি বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে এবার আর সেই ভুল করতে চান না স্প্যানিশ এই কোচ, তাই এই দিক নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেট-পিসের প্রস্তুতি নিয়ে ক্যাম্পের সবাই খুশি বলেও জানিয়েছেন কাবরেরা।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মাঠে সবশেষ ২০১৯ সালে খেলেছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি জামালরা। সেট-পিস থেকে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হয় সফরকারীদের। 

 

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশ দল। সৌদি আরবের তাইয়েফে চলমান ক্যাম্পে সেট-পিস নিয়ে কাজ শুরু করেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। প্রস্তুতি ম্যাচের কারণে খেলোয়াড়দের এ দিন ভারি অনুশীলন করাননি কোচ। 

 

কোচ বলেন, ‘অনুশীলন ভালো চলছে। আমরা আজ (১৫ মার্চ) ছেলেদের ওপর কাচের চাপ কিছুটা কমিয়েছি। বেশি কাজ করেছি সেট-পিস নিয়ে এবং এই সেশন চলবে। সেশনটা ভালো এবং ডায়নামিক ছিলো।’ 

 

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে যে ব্রাজিলিয়ানরা

 

কাবরেরা আরও বলেন, ‘যেটা আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, ছেলেরা সেই রিকভারি কিছুটা করতে পেরেছে। কেননা, গত দুই দিনে কেবল প্রস্তুতি ম্যাচই ছিলো না, ছেলেদের রিকভারির ব্যাপারও ছিলো। তো সব মিলিয়ে আজকের প্রস্তুতির লক্ষ্য ছিলো এটাই এবং ফলাফল যেটা পেয়েছি, তা নিয়ে আমরা সবাই খুশি।’ 

 

টানা প্রস্তুতির ফলে ভারত ম্যাচ নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলেই ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। 

 

‘প্রথম আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই সুস্থ আছি। আমাদের যে পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, এজন্য আমরা সবাই ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি সৌদির ক্যাম্পে। কোচের যে পরিকল্পনা, আমরা সবাই যদি সে অনুযায়ী খেলতে পারি, ইনশাল্লাহ ভালো ফলের আশা করতে পারি।’ 

 

আরও পড়ুন: নিজেদের মধ্যেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে কাবরেরার ‘পরীক্ষা’

 

হৃদয় আরও বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যে দলই হোক না কেন, আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমরা আমাদের যে স্বাভাবিক ফুটবল, আমাদের যে পরিকল্পনা, সে অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা ইতিবাচক ফলের আশা করছি। আসলে দলটা সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ভালো একটা দল, আমিও এক হিসেবে জুনিয়র। আমি মনে করি, সক্রিয় থেকে সবার সাথে মানিয়ে নিয়ে একসাথে ঠিকভাবে যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে ভালো ফলের আশা করতে পারি।’ 

 

চূড়ান্ত একাদশে জায়গা পেতে ফুটবলারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে লড়াইয়ের মনোভাব। যে কারণে সবাই তাদের সেরাটা নিংড়ে দিচ্ছে। বাফুফের পাঠানো বার্তায় মিডফিল্ডার পাপন সিংও মনে করিয়ে দিলেন সেই কথা। 

 

‘পরিবেশ অনেক ভালো, শিলংয়ের সাথে খাপ খাওয়ার জন্য সৌদিতে ট্রেনিং হচ্ছে। সবাই মনোযোগ দিয়ে ট্রেনিং করছে। যে সুযোগ পাবে, ভালো করবে। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সেরা একাদশে থাকার।’

]]>