বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৩ এপ্রিল) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ দশমিক ৫৩ ডলারে। আর ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ২ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৮০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিমুক্ত সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা স্বর্ণের দামকে অনবদ্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই হোয়াইট হাউসের অবস্থান পরিবর্তন সেই ধারাবাহিকতা থামিয়ে দেয়। যেখানে ট্রাম্প সরাসরি জানান, পাওয়েলকে অপসারণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারে স্বস্তির হাওয়া / ট্রাম্পের ‘ইউটার্ন’: পাওয়েলকে বরখাস্ত নয়, বরং সুদহার কমানোর আহ্বান
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে (পাওয়েলকে) বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা করছি না। তবে আমি চাই তিনি সুদের হার কমানোর বিষয়ে আরও সক্রিয় হোন।’
এছাড়াও, ট্রাম্প চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন, যা চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ‘গুরুত্বপূর্ণভাবে’ কমাতে পারে। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি বর্তমান শুল্কের কাছাকাছি কোথাও থাকবে না, তবে এটি শূন্যও হবে না।’
সিএমসি মার্কেটসের বিশ্লেষক কেলভিন ওং বলেন, ‘ট্রাম্পের পক্ষ থেকে পাওয়েলকে বরখাস্ত না করার ঘোষণা এবং চীনের সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক সুর বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে। ফলে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজন কম অনুভব করছেন।’
আরও পড়ুন: জেপি মরগানের পূর্বাভাস / নতুন মাইলফলকের পথে স্বর্ণের বাজার, ছাড়াতে পারে ৪ হাজার ডলার!
তবে বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মরগান পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যেই স্বর্ণের দাম ছাড়িয়ে যেতে পারে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ডলার।
জেপি মরগানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চলতি বছর প্রতি প্রান্তিকে গড় স্বর্ণ চাহিদা থাকতে পারে প্রায় ৭১০ টন, যা দামের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে সহায়ক। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের গড় দাম হতে পারে ৩ হাজার ৬৭৫ ডলার। তবে বাজার পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ৪ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে আরও আগেই।
]]>