এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে বিশাল দেহের রাজা-বাদশা, দাম কত?

বরিশালে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ফিজিয়ান জাতের বিশাল দেহের দুটি ষাঁড়। মালিক আমিনুল ইসলাম সন্তানের মতো করে দুই বছর ধরে লালন-পালন করছেন ষাঁড় দুটিকে। আদর করে বড়টির নাম রেখেছেন ‘রাজা’ আর ছোটটির নাম ‘বাদশা’। ‘রাজার’ ওজন প্রায় ৭৫০ কেজি এবং ‘বাদশার’ ওজন প্রায় ৭০০ কেজি। এবারের কোরবানি ঈদ সামনে রেখে বাদশার দাম হাঁকছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার এবং রাজার দাম ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

বরিশালের সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকায় এমইপি এগ্রো ফার্মে ওই ষাঁড় দুটিকে অতি যত্নে লালন পালন করছেন মালিক আমিনুল ইসলাম। আর প্রতিদিন ওই ফার্মে ষাঁড় দুটিকে দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা ও সম্ভাব্য ক্রেতারা। শুধু গরু দেখা নয়, অনেকে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।

স্থানীয় খামার সূত্রে জানা গেছে, ‘রাজার’ ওজন প্রায় ৭৫০ কেজি এবং বাদশার ওজন প্রায় ৭০০ কেজি। রাজা কিছুটা চঞ্চল স্বভাবের এবং তার প্রিয় খাবার বুটের ডাল।

অপরদিকে, শান্ত স্বভাবের ‘বাদশা’ বেশি পছন্দ করে কাঁচা ঘাস। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সবসময় একসঙ্গেই থাকে এবং আলাদা করলেই দুজনেই অস্থির হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার গরু বিক্রি হচ্ছে মৌলভীবাজারের খামারগুলোতে

রাজা ও বাদশার লালন-পালনকারী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই ষাঁড় দুটিকে সন্তানের মতো করে লালন করেছি। ওদের খাওয়া-দাওয়া, গোসল, চিকিৎসা সব কিছু সময়মতো করাই। এখন ভালো দাম পেলে বিক্রি করব। বর্তমানে রাজার দাম হাঁকা হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং বাদশার দাম ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।’

এমইপি এগ্রো ফার্ম ইনচার্জ রাফিউর রহমান আমি বলেন, ‘এই বছর দেশি গরুর ভালো দাম পাওয়া যাবে বলেই আশা করছি। কারণ এখন পর্যন্ত বিদেশি গরুর আমদানি হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবান পশু সরবরাহ করতে।’

এ দিকে, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির পশু নিয়ে খামারিদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যস্ততা ও উৎসাহ। তারা নিজেদের খামারে পশুর পরিচর্যায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর চাহিদা ৯ লাখ, ঘাটতি ৩৫ হাজার

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, বরিশাল বিভাগে এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা তিন লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি। প্রস্তুত করা হয়েছে চার লাখ ৫৫ হাজার ৫৩টি পশু। ফলে চাহিদার তুলনায় প্রায় ৬০ হাজার ৪৯৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

এ বিষয়ে বরিশাল প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এই বছর আমরা পর্যাপ্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছি। সেগুলোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভাগজুড়ে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে।’

এ ছাড়া, এ বছর বরিশাল বিভাগে বসবে প্রায় ৩৫০টি কোরবানির পশুর হাট। এসব হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভেটেরিনারি টিম থাকবে তৎপর। বিভাগজুড়ে ১৬০টিরও বেশি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করবে। বরিশালে এখনো হাটগুলো পুরোপুরি জমে না উঠলেও ক্রেতারা সুস্থ ও নিরাপদ পশুর প্রতি আগ্রহী বলে জানান বরিশাল প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ওই কর্মকর্তা।

]]>