এস্তোনিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ফ্লাইট প্ল্যান জমা না দিয়ে এবং ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখেই ১২ মিনিট ধরে দেশটির আকাশসীমায় অবস্থান করে তারা। এ সময় অঞ্চলটির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখেনি রুশ পাইলটরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটোর বাল্টিক এয়ার প্যাট্রোল মিশনে থাকা ইতালীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান দ্রুত সাড়া দিয়ে ওই রুশ বিমানগুলোকে প্রতিহত করে। ন্যাটো মুখপাত্র অ্যালিসন হার্ট ঘটনাটিকে রুশ সরকারের বেপরোয়া আচরণের নতুন উদাহরণ বলে আখ্যা দেন। বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ন্যাটোর দ্রুত সাড়া দেয়ার সক্ষমতা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বেলারুশের যৌথ মহড়ার জবাবে ন্যাটোর শক্তি প্রদর্শন
ঘটনার পর এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগুস ছাহকনা টালিনে রুশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানান। একে ‘অভূতপূর্ব ঔদ্ধত্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সীমান্তে পরীক্ষা ও আগ্রাসন বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। যার জবাব দিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। চলতি বছর এস্তোনিয়ার আকাশসীমা রাশিয়া চারবার লঙ্ঘন করেছে বলেও জানান তিনি।
এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিখাল জানান, সরকার ন্যাটোর আর্টিকেল ৪ অনুযায়ী জরুরি পরামর্শের জন্য অনুরোধ করেছে। আর্টিকেল ৪ অনুযায়ী ৩২ সদস্যের ন্যাটো সদস্য দেশগুলো দ্রুত পরামর্শ শুরু করে, যা সম্মিলিত প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের সঙ্গে বিশাল অস্ত্র চুক্তি বাতিল করল স্পেন
ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কাল্লাস। তার ভাষায়, পুতিন ইউরোপের নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে। তাই দুর্বলতা দেখানোর সুযোগ নেই।
ইউরোপীয় কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার লিয়েন বলেন, উসকানিমূলক এই আচরণের জবাব দৃঢ়ভাবে দেয়া হবে। এ অনুপ্রবেশের নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। একে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দেন তিনি।
]]>