ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। ইমরানুজ্জামানকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে ফেলেন খুলনার ব্যাটাররা। নাসির হোসেন, নাসুম আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কোনো পাত্তাই পাচ্ছিলেন না সৌম্য সরকার এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ারপ্লেতে কেবল ১৯ রান করতে পারে খুলনা।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয়বার এনসিএলের চ্যাম্পিয়ন রংপুর
দলীয় ১৯ রানের মাথায় রানআউটে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১২ রান। তবে সৌম্য সরকার খেলছিলেন একটু ধীরগতিতেই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মানেই চার-ছক্কার খেলা। এই ফরম্যাটে বল নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তবে সৌম্য সরকার একের পর এক ডট বল খেলছিলেন। ২২টা বল তিনি খেলেছেন বটে, কিন্তু কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ফলো-অনে পড়ে লড়াই করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফিরে এলো ১৪ বছরের স্মৃতি
টেস্ট ক্রিকেটেও হয়তো এত কম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন না কেউ। অথচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সৌম্য ব্যাট করলেন ৩৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে! ২২ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তার এমন বাজে ব্যাটিংয়ের পর খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৩৬। এই রানে অবশ্য রংপুরকে আটকানো যায়নি। উল্টো ১৮ বল হাতে রেখেই তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
]]>