এনএসসিতে পাঠানো সেই চিঠিতে নকল স্বাক্ষর, দাবি রিয়া আক্তারের

১ সপ্তাহে আগে
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে অভিযোগ করেছিলেন ক্রিকেটার রিয়া আক্তার। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নথি-পত্রের পর্যালোচনা করে তার জবাবও দিয়েছে বিসিবি। তবে বোর্ড অনিয়ম না পাওয়ার তথ্য প্রকাশের পরই রিয়া জানালেন, এনএসসিতে কোনো চিঠি পাঠাননি তিনি। তার কথা, কেউ তার স্বাক্ষর নকল করে চিঠি পাঠিয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এসব জানান। নিজের ফেসবুক পোস্টে রিয়া লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে অনেকেই এই চিঠির বিষয় জিজ্ঞেস করেছেন। তাদেরকে পূর্বেও বলেছি এই চিঠি আমি প্রদান করিনি। আজকে সকলের উদ্দেশ্যে আমি এই বিষয়টা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আমি এমন কোন চিঠি প্রদান করিনি। এখানে ব্যবহৃত আমার স্বাক্ষরটাও নকল করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত আমার যে স্বাক্ষর আছে সেটা সংযুক্ত করে দিয়েছি।’ 

 

আরও পড়ুন: বোলারদের দাপটের দিনে সেঞ্চুরি হাঁকালেন শিবলী

 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলা নারী ক্রিকেট খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির পক্ষে এনএসসিতে পাঠানো চিঠিতে করা অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অবৈধ সম্পর্ক এবং অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেট নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনিয়ম। 

 

 

বয়স বেশি হওয়ার পরও এশা রহমান, আখি আক্তার, রুমানা আহমেদ, মীম খাতুন, চিত্রিতা অধিকারী, জেরিন তাসনিম লাবণ্য, লামিয়া মৃধা, আফরিন মীম, রিজভী দাস এবং ববি খাতুনকে খেলানো হচ্ছে। ঢাকা লিগে পারফর্ম করার পরও স্বজনপ্রীতি করে খাদিজা খাতুন, লাবনি আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিনকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

 

আরও পড়ুন: প্রথমবার দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে রোমাঞ্চিত সাইফ

 

তবে চিঠিটা তাহলে কে দিতে পারে, এমন প্রশ্নে রিয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এটা তো আমারও প্রশ্ন।’ 

 

ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে জানতে চাইলে রিয়া বলেন, ‘এটা আমার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া, বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য আমি নিজেই পোস্টটা করেছি। ওই চিঠি আমার নয়।’ ফেসবুক পোস্টে আলোচিত সেই চিঠির সঙ্গে নিজের আসল স্বাক্ষরের নমুনাও প্রমাণ হিসেবে যুক্ত করেন নারী ক্রিকেটার রিয়া।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন