অপরদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদ শূন্য থাকায় অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্নের সুযোগ না থাকায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কুয়েটের ১১ শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নিয়ে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে কুয়েট। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ, রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। একপর্যায়ে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন। একদিকে বন্ধ ক্যাম্পাস, অন্যদিকে অনশন। শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
আরও পড়ুন: কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছে শিক্ষক সমিতি
তবে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায় বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে জানায় কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষকদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তির আওতায় আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম ও ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করে আসছিলেন কুয়েটের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মুখে গত ২২ মে উপাচার্য পদত্যাগ করে চুয়েটে ফিরে যান।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ দ্রুত ক্লাস শুরুর দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচিতে একাত্ম হয়েছে। অপরদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরোধ নেই তাদের। দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে চান তারা, দাবি করেছেন জড়িতদের বিচারও।
আরও পড়ুন: দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কুয়েট শিক্ষকদের
শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবেন না জানিয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘দ্রুত নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে হবে।’
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভুঞা ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার জানান, উপাচার্যসহ আমরা সবাই চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত সংকট নিরসন হয়ে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।