বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন করতে অডিট ফার্ম ‘রহমান রহমান হক’কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দুটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। সম্পদ মূল্যায়নের পর দুটি ব্যাংক একমত হলে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাবে। কীভাবে এগিয়ে যাবে তা একীভূতকরণ নীতিমালায় বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক মিলে যাওয়ায় কি লাভ হবে?
সমঝোতা চুক্তি সই একীভূতকরণের প্রথম ধাপ জানিয়ে মেজবাহ বলেন, সম্পদ মূল্যায়নে উভয় ব্যাংককে একমত হতে হবে। যদি তারা চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক মধ্যস্থতাকারী হয়ে মতপার্থক্য দূর করতে সহায়তা করবে। এছাড়া এক্সিম ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন লাগবে।
তিনি আরও বলেন, একীভূত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পেলে দুটি ব্যাংককে কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর আওতায় অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলতে হবে। তাদেরকে হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে ও একীভূতকরণের প্রকল্প জমা দিতে হবে। হাইকোর্টে অনুমোদনের পর দুই ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে কার্যকর করা হবে।
একীভূত করার প্রক্রিয়ায় দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে জানিয়ে মেজবাউল হক জানান, এসময় ব্যাংকগুলো তাদের স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাছাড়া স্বেচ্ছায় এখন পর্যন্ত যেসব দুর্বল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে নিয়ে কাজ করা হবে।