এ ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সাকলাইনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. ফিরুজ আহমেদ বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে সাদা রঙয়ের একটি হায়েস গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ ১২-৮৬৩৯) দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পরে ঢাকা থেকে দোহারগামী আরাম পরিবহনের একটি বাসকে থামানো হয়।
বাসটিতে সাদা পোশাকে তিন জন উঠে নিজেদেরকে র্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেন। চালকের ঠিক পেছনের সিটে বসা ভূইয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্র সাকলাইনকে তারা হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বাস থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। তবে সাকলাইন বাস থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় বাসটির স্টাফ আল আমিন প্রতিবাদ করলে সাদা পোশাকধারীরা দুই জনকেই বাস থেকে নামিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে মাওয়ার দিকে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের ধাক্কায় উল্টে গেল পিকআপ, আহত ৩
এ সময় তারা সাকলাইনের কাছে জানতে চায় সে ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে বাসে উঠেছে কিনা? সাকলাইনের বাসা ধানমন্ডি এবং সে গুলিস্থান থেকে বাসে ওঠার কথা বললে র্যাব পরিচয়ধারীরা সাকলাইনের ব্যাগ চেক করে। সাকলাইন ব্যাগ খুলে বই ও তার পরিচয়পত্র দেখালে তারা তাকে গুলি করার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে সাকলাইন ও আল আমিনকে পদ্মাসেতু টোল প্লাজার সামনে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তারা শ্রীনগর আসেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাকলাইন বলেন, ‘মারধরে বাম কানের পর্দা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা কেন উঠিয়ে নিলো, তা বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছ থেকে র্যাব পরিচয়ধারীরা কোনো টাকা-পয়সা ও মোবাইলফোন নেয়নি। আগামী ৮ জানুয়ারি আমার পরীক্ষা। এখনো ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’
আরাম পরিবহনের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, ঘটনার তদন্তে র্যাব ও শ্রীনগর থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের ধাক্কায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মারুফ আহত
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-১০ ভাগ্যকূল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই সময় তাদের কোনো গাড়ি হাঁসাড়া এলাকায় টহলে ছিল না।
শ্রীনগর থানার ওসি মো. কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওইদিনই ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছিল। সোমবার দুপুরে মেডিকেল ছাত্র সাকলাইনের বাবা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>