শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতে ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি কেশবপুরে লিফলেট বিতরণে অংশ নেন। এ সময় তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে শ্রাবণকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তার পরিবার ত্যাজ্যপুত্র করেছিলো। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর তার নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। এরপর কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল এবং শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা তার বহরে যোগ দেন। বহর নিয়ে তিনি লিফলেট বিতরণ করেন এবং বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেন।
কর্মসূচি থেকে তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ার ঘোষণাও দেন।
আরও পড়ুন: ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের
এ সময় কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, ‘তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে আমি কেশবপুরে এসেছি। বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের এই ৩১ দফা ভূমিকা রাখবে। কেশবপুরে কোনো চাঁদাবাজদের আশ্রয় হবে না। কেশবপুরে ভয়হীনভাবে জনগণ বসবাস করবে— সেই বার্তা নিয়ে এসেছি। আমার স্বপ্ন, নিজ এলাকা কেশবপুর উপজেলাবাসীর সেবা করা। এই সেবা করার সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন বিএনপির হারানো আসন পুনরুদ্ধার করবেন। শ্রাবণ বলেন, ‘বিএনপির ৪৬ বছরের হারানো আসন আমি ফিরিয়ে আনবো।’
এদিকে শ্রাবণের আগমনে খুশি স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় ছিলেন। কিন্তু শ্রাবণের কর্মসূচিতে তারা যোগ দেয়ায় সংগঠন নতুন করে সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশা করছেন তারা।