একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে: নাহিদ রানা

২ সপ্তাহ আগে
বিশ্বের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে দিতে নারকীয় ধংসযজ্ঞে নেমেছে ইসরাইল। বর্ণবাদী ইসরাইল এই মুহূর্তে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে। নির্বিচারে বেসামরিক মানুষ মারছে ইসরাইলি সৈন্যবাহিনী। প্রতিদিন লম্বা হচ্ছে লাশের মিছিল। যাদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু এবং নারী। বর্বর ইসরাইলের এই চরম মানবতাবিরধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানালেও বিশ্বনেতৃত্ব নিশ্চুপ। যেন এই ধংসযজ্ঞে তারা মৌন সমর্থনই দিচ্ছেন।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদী মানুষের মিছিল বড় হচ্ছে। কণ্ঠস্বর হচ্ছে জোরাল। এই হত্যাযজ্ঞে  বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের নিরব সমর্থনকে ধিক্কার জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্রীড়া জগতের তারকারাও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের তারকারাও।


জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরী প্রকাশ্যেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা পেসার নাহিদ রানার হৃদয়েও হচ্ছে রক্তক্ষরণ। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে না পারায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গতিশীল এই ফাস্ট বোলারের মন কাঁদছে।

 

আরও পড়ুন: স্বীকৃত ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ইমনের


রোববার (৬ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাহিদ লিখেছেন, 'এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।'


আক্রান্ত গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। তিনি বলেন,  ‘আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।’

 


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজার জনগণের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাতে চাই এই দিনে। সেই সঙ্গে, আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যা দেখেছি, তা কখনই মেনে নেওয়া উচিত নয়।'


উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ফের গাজা উপত্যকায় ধংসযজ্ঞে মেতেছে ইসরাইল। এক মাস ধরে সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ করে চলেছে তারা। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ জীবন হারাচ্ছেন, যাদের একটা বড় অংশই শিশু। খাদ্য, পানীয় এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে মানবতার চরম বিপর্যয় নেমেছে সেখানে। প্রায় সব অবকাঠামোই ধসিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন