একজন মুমিন সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন যেভাবে

৩ সপ্তাহ আগে
জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সিদ্ধান্ত সফলতার পূর্বশর্ত, কারণ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ভুল সিদ্ধান্ত অনেক সময় মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে।

সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সহায়ক কিছু উপায় কোরআন ও হাদিসের আলোকে এখানে তুলে ধরা হলো।

 

অভিজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ

 

প্রত্যেকেই সব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে পারে না। যারা যে বিষয়ে দক্ষ, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া উচিত। বিশেষ করে বড়দের পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা অনুসরণ করলে ভুলের আশঙ্কা কমে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা না জানো, তাহলে যারা জানে তাদের জিজ্ঞেস করো।’ (সুরা নাহল ৪৩)

 

আরও পড়ুন: সবসময় করা যায় এমন তিন জিকির

 

জীবন বিনাশী সিদ্ধান্ত পরিহার

 

মানুষের জীবন ও জীবনোপকরণ মহান আল্লাহর দান। তাই জীবনের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করা আবশ্যক। জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না। তোমরা সৎ কাজ করো, আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণ লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা ১৯৫)

 

সময়ের সিদ্ধান্ত সময়ে নেয়া

 

প্রত্যেক কাজের নির্দিষ্ট সময় ও সামর্থ্যের বিষয় আছে। যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা বরকতময় হয়। এরকম একটি বিষয় হাদিসে বলা হয়েছে, ‘হে যুবকেরা, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করতে সক্ষম, তারা যেন বিয়ে করে। কারণ বিয়ে দৃষ্টি নত রাখতে ও লজ্জাস্থানের হিফাজতে সহায়ক। আর যে ব্যক্তি বিয়ে করতে সক্ষম নয়, সে যেন রোজা রাখে। কারণ, রোজা যৌন চাহিদা অবদমিত করে।’ (বুখারি ৪৭৭৮, মুসলিম ৩৪৬৪)

 

আল্লাহর ওপর ভরসা

 

সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তা বাস্তবায়নে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ তাআলাই সর্বোত্তম কর্মসম্পাদনকারী। তিনি ইচ্ছা করলে কর্মের বাস্তবায়ন সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাজকর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো, তারপর ইচ্ছা পোষণ করলে আল্লাহর ওপর ভরসা করো; যারা আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান ১৫৯)

 

আরও পড়ুন: কেমন জীবনযাপন করতেন খলিফা ওমর (রা.)

 

ইসতিখারা

 

ইসতিখারা অর্থ কল্যাণ কামনা করা। যখন কোনো বৈধ কাজে মন স্থির না হয়, তখন আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করে ইসতিখারা নামাজ পড়া হয়। এরপর যেদিকে মনের ঝোঁক সৃষ্টি হয়, সেটিই কল্যাণকর ধরা হয়। রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো কাজের ইচ্ছা করে, তখন যেন ফরজ ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং নির্ধারিত দোয়া পাঠ করে।’ (বুখারি ১১০৯, আবু দাউদ ১৫৪০, ইবনে মাজাহ ১৩৮৩)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন