এক সেতুতে ৬ শতাধিক জোড়াতালি, দুর্ঘটনার দায় নেবে কে?

১ সপ্তাহে আগে
বছরের পর বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চলছে বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ওপর নির্মিত ঝালকাঠির বাসন্ডা সেতু। ৬ শতাধিক জোড়াতালি দেয়া সেতুতে নিয়ম না মেনে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর তিন যুগ আগে নির্মাণ করা হয়েছিল ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ বেইলি সেতুটি। এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবহন চলাচল করছে। বর্তমানে পদ্মা ও বেকুটিয়া সেতু চালু হওয়ায় বাসন্ডা সেতুর ওপর যানবহনের চাপ আরও বেড়ে গেছে। কিন্তু সেতুটি ধারণ ক্ষমতা ৭ টন হলেও আইন না মেনে চলছে তিন চার গুন বেশি ওজনের যানবাহন। তার ওপর দীর্ঘ বছরে পুরাতন হয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে পাটাতন।


বর্তমানে সেতুর ওপরের প্লেটে ৬০০টির অধিক জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। ফলে ভারি যানবাহন চলাচলের সময় কাঁপছে এই বেইলি সেতুটি।


অপরদিকে যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটির বিকট শব্দে আশপাশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে যেকোনো সময় এটি ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন সবাই।


আরও পড়ুন: বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, দুর্ভোগে ২৫ হাজার মানুষ


শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মইন খান বলেন, ৩৬ বছরেরও বেশি সময় আগে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে। এখন একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন এ সেতু দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু ও বেকুটিয়া সেতু উদ্বোধনের পর। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।


স্থানীয় মাসুম খান বলেন, ‘প্রতি বছর কেবল মেরামতের নামে সেতুটিতে দেয়া হচ্ছে জোড়াতালি। ছয় শতাধিক জোড়াতালি রয়েছে পাটাতনের প্লেটে। আসলে মেরামতের নামে সরকারি অর্থের অপচয় এবং নিজেদের পকেট ভারি ছাড়া এটা আর কিছুই না।’


আরও পড়ুন: রাজধানীর নাসিরাবাদ: ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি বাসিন্দাদের


এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারিয়ার শরীফ খান বলেন, ‘একটি আধুনিক কংক্রিট সেতু নির্মাণে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিজাইন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন হলে শিগগিরই সেতুটি নির্মাণ করা হবে।’


সড়ক বিভাগ জানায়, আশির দশকে ঝালকাঠি শহরের বাসন্ডা নদীর ওপর বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে এ বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন