এক সপ্তাহেই কেটে যাবে ভোজ্য তেলের অস্থিরতা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

১ মাস আগে
ভোজ্য তেলের অস্থিরতা নিরসনে কাজ করছে সরকার। বন্দর থেকে শুরু করে খাতুনগঞ্জ সবখানেই তেলের মজুদ যাচাই-বাছাই ও মটিনরিং চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্য তেলের অস্থিরতা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) খুলনায় দৌলতপুর জুট মিল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ওই উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল আর সরকারিভাবে চালুর কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগের সরকারের করা পাটকল লিজ নীতিমালা পরিবর্তন করা হচ্ছে। যেখানে বিজিএমসির মিলগুলিতে পাটের পাশাপাশি অন্য পণ্য উৎপাদনের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এরফলে স্তিমিত থাকা পাটকল লিজ প্রক্রিয়া গতি পাবে, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।’


উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে অবস্থিত বন্ধথাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। লিজগ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে আরও তিনটি মিল লিজ প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।’


আরও পড়ুন: ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা


তিনি বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিখাতে ছেড়ে দেয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।’


উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। উপরন্তু সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাট শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।’


বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কার্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরও তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’


আরও পড়ুন: মজুতে ঘাটতি নেই, রমজানে বাড়বে না নিত্যপণ্যের দাম: বাণিজ্য উপদেষ্টা


তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরণের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতোর উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।’


পরিদর্শনকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও দৌলতপুর জুট মিলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন