ভারতের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সিরাজ আগস্ট মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। ভারতের এই ফাস্ট বোলারের সঙ্গে মনোনীত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডন সিলস।
ইংল্যান্ড সিরিজে দুই দলের একাধিক খেলোয়াড় ইনজুরিতে ভোগা সত্ত্বেও সিরাজ অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। সিরিজের পাঁচটি টেস্টই খেলেন তিনি এবং ২৩টি উইকেট শিকার করেন—যা ছিল সিরিজে সর্বোচ্চ।
জুনের শেষ দিকে শুরু হয়ে আগস্টের শুরুতে শেষ হওয়া এই সিরিজে সিরাজ মোট ১৮৫.৩ ওভার বল করেন এবং তরুণ ও তুলনামূলক অনভিজ্ঞ ভারতীয় দলকে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করতে সাহায্য করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বরেকর্ড গড়া হারের পর শাস্তি পেল দ. আফ্রিকা
আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, 'আগস্টে মোহাম্মদ সিরাজ মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু সেই এক ম্যাচেই তার উজ্জ্বলতা তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য যথেষ্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লন্ডনের দ্য ওভালে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির শেষ টেস্টে ভারতীয় এই ডানহাতি পেসার ২১.১১ গড়ে নয়টি উইকেট নিয়েছিলেন।'
জসপ্রিত বুমরাহর অনুপস্থিতিতে সিরাজ বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেন। তিনি দুই ইনিংসে মিলিয়ে ৪৬ ওভারের বেশি বল করেন। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি এবং তার স্পেল ভারতের জয়ের পথ প্রশস্ত করে, যা সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের হেনরি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ে উজ্জ্বল ছিলেন। তিনি দুই টেস্টে ১৬টি উইকেট নেন। প্রথম টেস্টে তার বোলিং ফিগার ছিল ৬/৩৯ ও ৩/৫১, আর দ্বিতীয় টেস্টে ৫/৪০ ও ২/১৬।
আইসিসি জানিয়েছে, 'নিউজিল্যান্ডের ২-০ টেস্ট সিরিজ জয়ে ম্যাট হেনরি ছিলেন প্রধান পারফর্মার। তিনি দুই ম্যাচে ১৬টি উইকেট নেন, অবিশ্বাস্য ৯.১২ গড়ে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিলসকে মনোনীত করা হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য। তিনি তিন ম্যাচে ১০টি উইকেট নেন, যার মধ্যে শেষ ম্যাচে ৬/১৮ নিয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে দেন, যেখানে লক্ষ্য ছিল ২৯৫ রান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নয়, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকেই সুপার ফোরে দেখছেন হার্শা ভোগলে
আইসিসি বলেছে, 'প্রথম ম্যাচে তিনি খুব একটা সফল হননি, ৫৯ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট নেন এবং পাকিস্তান সহজেই জেতে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান, ৭ ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে বাবর আজম ও সাইম আইয়ুবের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন।'
'তৃতীয় ম্যাচে সিলস ছিলেন একেবারে বিধ্বংসী, ক্যারিয়ারের সেরা ৬/১৮ নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন। এটি ওয়ানডে ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার, যা সিরিজ জয় নিশ্চিত করে।'–আইসিসির ব্যাখ্যা।
]]>