এক ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে তারা খেলা বোঝে না: তাইজুল

৩ সপ্তাহ আগে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে বল হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার নিজেও অবশ্য মানছেন যে, প্রত্যাশ্যার ধারে কাছে ছিলেন না তিনি। তবে সিলেটে বাজে পারফর্ম করায় যারা তাইজুলের সমালোচনা করেছেন, চট্টগ্রামে ৫ উইকেট নিয়ে তাদের ধুয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার বল করে ৫৩ রান খরচ করলেও কোনো উইকেট পাননি তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভার বল করে ৭০ রানে শিকার করেছিলেন ২ উইকেট। তবে দ্বিতীয় টেস্টেই জ্বলে উঠেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দারুণ অবস্থানে থাকা জিম্বাবুয়েকে শেষ বিকেলে একাই ধসিয়ে দেন তাইজুল। 

 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৬তম বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। এক পর্যায়ে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৭৭ রান, সেখান থেকে দিনশেষে সফরকারীরা করেছে ৯ উইকেটে ২২৭। পুরো দিনে ২৭ ওভার বল করে ৬০ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তাইজুল।

 

আরও পড়ুন: তাইজুল ম্যাজিকে স্বস্তি নিয়ে প্রথম দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

 

শেষ সেশনে তাইজুলের ঘূর্ণিতে স্বস্তি নিয়ে দিন করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে বাজে খেলার পর চট্টগ্রামে চেনা রূপে ধরা দিয়েছেন তাইজুলও। বাঁহাতি স্পিনার দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে জানালেন আগের টেস্টে খারাপ করা পুড়াচ্ছিল তাকে। ‘অবশ্যই সন্তুষ্টির এটা একটা বিষয় (চট্টগ্রামে ছন্দে ফেরা)। কারণ একটা খেলোয়াড় যখন ৫০টা টেস্ট খেলে ফেলবে, তারপর সিলেটে যেমন বল করেছি সেটা ভালো জিনিস না। তারপরেও ফিরে এসেছি এটা ভালো লাগার বিষয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার দলকে সাহায্য করেছি।’ 

 

তাইজুল আরও বলেন, ‘সবচাইতে মেইন জিনিসটা যেইটা ছিল যে, আমাদের প্রত্যেকটা বোলার একটা সময় এসে যখন আমরা অনেক টাইট বোলিং করেছে। টানা কয়েকটা ওভার মেডেন হয়ছে। তো আসলে এই মুভমেন্টগুলা একটা টেস্ট ম্যাচে খুবই ইমপরট্যান্ট। যখন একটা পার্টনারশিপ বোলিং হয় তখন উইকেট পড়ার চান্স থাকে।’ 

 

‘আমার কাছে মনে হয়, একটা প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা সেটা হচ্ছে ডিসিপ্লিন। তো আমার রুটিন যেটা সেটাই মেইনটেইন করা চেষ্টা করি। রেজাল্ট হয়তোবা কোনো সময় আসবে কোনো সময় আসবে না। কিন্তু ‍ডিসিপ্লিনটা যখন আপনার সাথে থাকবে হয়ত ওটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হেল্প হবে।’ 

 

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ম্যাচ রেফারিকে বিদায়ী সম্মাননা দিল বিসিবি

 

তাইজুল বলেন, ‘আসলে টেস্ট ক্রিকেটটা হয় কি যে, আপনাকে একটু আগে বললাম যে পার্টনারশিপ বোলিংটা অনেক ইমপরট্যান্ট। উইকেট যেমনই হোক, দেখা যাচ্ছে ফ্ল্যাড উইকেটেও অনেক সময় উইকেট পড়ে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে, ভালো উইকেটেও উইকেট পড়ে। এখানে বিষয়টা এরকম যে,  পার্টনারশিপ বোলিংটা কতটুকু হচ্ছে আমাদের। ব্যাটসম্যানদের যখন আমরা প্রেশার দিবো, তখন উইকেট পড়ার সুযোগটা বেশি থাকে। আর অবশ্যই সিলেটের উইকেট আর এখানকার উইকেট অনেক ডিফারেন্স আছে। কিন্তু ওরা একটা সময় কিন্ত খুব ভালো খেলতেছিল। আমাদের তখন একটাই প্ল্যান ছিল যে আমরা বাড়তি কিছু না করে যেন তাদের রান টা আটকে রাখতে পারি। এখানে অনেক সময় অনেক রেকর্ড আছে যে, দেড়শ-দুইশ রানের পার্টনারশিপ হয়ছে, একটা উইকেট পড়ার পর সাথে সাথে দুই তিনটা উইকেট পড়ছে। তো এভাবেই আমরা আগাইছি।’ 

 

নিজের সেই বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমালোচনাকে আবার এক হাত নিলেন তিনি, ‘আমার মনে হয় এতগুলো টেস্ট খেলার পর একটা ম্যাচ দেখে যারা সমালোচনা করে, আমার মনে হয় না তারা খেলা বোঝে।’ 

 

বাঁহাতি এই স্পিনার আরও বলেন, ‘আসলে একটা ব্যাপার কি, একটা প্লেয়ার যখন অনেক দিন পর পর ম্যাচ খেলে, তার জন্য পারফর্ম করাটা ডিফিকাল্ট। সেই জায়গা থেকে বলবো যে, নাঈম টিমকে অনেক বড় হেল্প করছে এবং খুবই ভালো একটা সময় দুইটা ব্রেক থ্রো দিছে। যেটা আমাদের টিমকে অনেক হেল্প করছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন