ফোর্বসের এক প্রতিবেদন মতে, গত বছর এই সময়ে তার ব্যালেন্স শিটে আনুমানিক ৪১৩ মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ ছিল। ঠিক সেই সময় নথি জালিয়াতির এক মামলায় নিউইয়র্কের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের জরিমানার রায় হয়।
এমনকি নিউইয়র্কের তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিলিয়া জেমস তার সম্পদ জব্দ করার আভাসও দেন। তার ৪০ ওয়াল স্ট্রিট ভবনও এই জব্দের তালিকায় ছিল।
তখন ট্রাম্পের সহজ স্বীকারোক্তি, ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার নগদ পরিশোধের সামর্থ্য তার নেই। ফলে আইনজীবী দল আপিল আদালতকে বন্ডের পরিমাণ মওকুফ বা কমানোর আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে ‘একঘরে’ করে দিতে পারে!
আদালত সবসময় এই ধরনের ছাড় দেয় না, তবে এক্ষেত্রে তারা তা করেছে। জরিমানা ১৭৫ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে এবং সম্পদ জব্দ করা রোধ করেছে।
ফোর্বেসের কথায়, এ অবস্থায় ট্রাম্প যা সবচেয়ে ভালো যেটা পারেন সেটাই করে গেছেন। তিনি লড়াই করেছেন এবং জিতেছেন। ফলাফল: আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্টের সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি করে বেড়েছে। ২.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে এখন ৫.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব হলো। ফোর্বসের মতে, ট্রাম্প প্রথমেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবসায় প্রবেশ করেন। চালু করেন নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল। এতে প্রথমে কিছুটা ক্ষতি হলেও সমর্থকেরা একত্র হতেই একটা বিশেষ প্ল্যাটফর্ম পান, যা পরে স্টক মার্কেটকেও চাঙা করে দেয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
ফোর্বস বলছে, ট্রাম্পকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে গেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। গত বছরের অক্টোবরে ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিন্যান্সিয়াল নামের একটি ক্রিপ্টো প্রজেক্ট চালু করেন। এতে অনেক বিনিয়োগকারী পান তিনি। আর অভিনব এই উদ্যোগই তাকে এগিয়ে নিয়ে যায় নির্বাচনের মাঠেও।
এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। তিনি নিজের নামে হ্যাশট্যাগ চালু করে ডিজিটাল টোকেন ব্যবস্থা আনেন। তাতে বিনিয়োগকারীরাও সাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম পান। তার ট্রাম্পের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।
তবে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের চেয়ে সম্পদের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৩ হাজারের বেশি বিলিয়নিয়ারের তালিকায় শীর্ষে থাকা ইলন মাস্কের সম্পদ এখন ৩৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হতে পারে, শুল্ক ঘোষণার পর জেপি মরগানের পূর্বাভাস
]]>