এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা নগরীর সড়ক

১ সপ্তাহে আগে
খুলনায় টানা এক ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা জুড়ে কখনও ভারি, কখনও হালকা বৃষ্টিপাত হয়।

বৃষ্টিপাতে নগরীর টুটপাড়া, রয়েল মোড়, মিস্ত্রিপাড়া, শান্তিধাম মোড়, পিটিআই মোড়, পূর্ব বানিয়া খামার, বসুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে।


পানি উঠে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। যান বাহন চলাচলেও ভোগান্তিতে পড়ে। অনেক সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মোটরে পানি প্রবেশ করে অনেক যানবহান বিকল হতেও দেখা যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধতা বলে অভিযোগ নগরবাসীর। এসময় রয়েল মোড় থেকে পিটিআই মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটও দেখা যায়।

আরও পড়ুন: খুলনায় দিনে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, রাত হতেই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

রয়েল মোড় এলাকায় পথচারী মাইনুল উদ্দিন বলেন, রাস্তা আর ড্রেনের সমস্যা ১৯৯৬ সাল থেকে দেখে আসছি। ড্রেন থেকে পানি নদীতে যাবে কী? উল্টো নদীর পানি মনে হয় ড্রেন দিয়ে শহরে ঢুকে। জলাবদ্ধতা এ শহরের স্থায়ী সমস্যা।


২০১৯ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেরশন বৃহৎ ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। ৮২৩ কোটি টাকার এ প্রকল্পে রয়েছে ৯টি খাল খনন, ৮টি স্লুইস গেট, প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ড্রেন নির্মাণ, আউটলেট খনন, জমি অধিগ্রহণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ ময়ূর নদীর ওপর তিনটি সেতু নির্মাণ। ২০২৩ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি আশানুরূপ নয়।


এছাড়া গত সাত বছরে ৬৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৮টি ড্রেন পুনর্নির্মাণ করেছে কেসিসি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্ষা এলেই খুলনার রাজপথে নামে পানির স্রোত।

আরও পড়ুন: খুলনার রূপসা ঘাটে চরম অব্যবস্থাপনা, ভোগান্তি

কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার বলেন, ‘নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে ড্রেনেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। নতুন একটি প্রকল্পে স্লুইস গেট ও পাম্প হাউস বসানোর পরিকল্পনা আছে। এটি বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি উন্নত হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন